চট্টগ্রাম রবিবার, ০৯ নভেম্বর, ২০২৫

চুয়েটে স্নানের সময় শিক্ষার্থীর ভিডিও ধারণ, শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ

চুয়েটে স্নানের সময় শিক্ষার্থীর ভিডিও ধারণ, শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ

রাউজান সংবাদদাতা

২৩ অক্টোবর, ২০২৫ | ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) এক শিক্ষার্থীকে স্নানরত অবস্থায় ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে থাকা শিক্ষার্থীরা।

 

অভিযুক্ত ছাত্র হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের সৌম্য দাস।

 

এ ঘটনায় গতকাল বুধবার দিবাগত (২২ অক্টোবর) রাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীরা তার দ্রুত দণ্ডাদেশ ও প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি রেখেছেন।

 

জানা যায়, মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) মুক্তিযোদ্ধা হলের এস ব্লকের পঞ্চম তলার বাথরুমে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী স্নান করার সময় পাশের বাথরুম থেকে সৌম্য দাস তার ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থী সৌম্যকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন।

 

ভুক্তভোগী ও উপস্থিতরা জানায়, সৌম্যের কাছে থাকা মোবাইল উদ্ধার করে ওই ভিডিওটির গুগল ড্রাইভে একই ধরনের ১০টি কপি পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত প্রথমে ঘটনাটি অস্বীকার করলেও শিক্ষার্থীরা মোবাইল পরীক্ষা করে এসব প্রমাণ পান বলে দাবি করেছেন।

 

ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি যখন তাকে ভিডিও করতে দেখি, তখন সে পাশের বাথরুমে ছিল। আমি সাথে সাথে বের হয়ে তার দরজা ধাক্কাতে থাকি। পরে দরজা খুললে আমি তার ফোন কেড়ে নিই ও তাকে ধরে হলের বড় ভাইদের কাছে নিয়ে যাই। প্রাথমিক তদন্ত শেষে সৌম্যকে মুক্তিযোদ্ধা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. বিপুল চন্দ্র মণ্ডলের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’

প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. বিপুল চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘আমরা আজকে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের ডিরেক্টর বরাবর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন দিয়েছি। ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি।”

 

অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা হলের প্রভোস্ট (প্রাক্তন) অধ্যাপক নিপু কুমার দাস বলেন, তিনি ঘটনাটির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও মোবাইল জব্দে যুক্ত ছিলেন এবং বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

 

মুক্তিযোদ্ধা হলের বর্তমান প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. রাশিদুল হাসান বলেন, “ঘটনাটি আগের প্রভোস্টের দায়িত্বকালীন; তবে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শীঘ্রই নেয়া হবে।”

 

অভিযুক্ত সৌম্যের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি মোবাইলটা উপরে রেখেছিলাম; হয়ত পানি বা ঘাম লেগে ভিডিও অন হয়ে গেছে—আমি ইচ্ছাকৃত কিছু করি নাই।

 

মোবাইলে পাওয়া প্রমাণাদি সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি কল কেটে দেন এবং ফোন বন্ধ করে ফেলেন বলে উপস্থিতরা জানিয়েছেন।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট