চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সর্বশেষ:

চকরিয়ায় দিনদুপুরে গরু ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুটপাটের অভিযোগ

চকরিয়া সংবাদদাতা

২০ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৪৮ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পূর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কদ্দাচড়া এলাকায় দিনেদুপুরে নাছির উদ্দিন নামের এক গরু ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় দুর্বত্তরা বাড়ির নারী-পুরুষ সদস্যদের ধারালো কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে ও বন্দুকের পিটিয়ে গুরুতর জখম করে বাড়ির আলমিরার ভেতরে গরু কেনার জন্য রক্ষিত নগদ ২০ লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও ছোট-বড় মিলিয়ে ১৬টি গরু মহিষ লুট করে নিয়ে গেছে বলে দাবি করা হয়।

 

বাড়িতে এ ঘটনায় গৃহকর্তা গরু ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিনের স্ত্রী মুর্শিদা বেগম (৩৫) বাদি হয়ে সোমবার (২০ জানুয়ারি) চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬ জন সন্ত্রাসীর নামোল্লেখ করে একটি নালিশি মামলা রুজু করেছেন।

 

আদালতের বিচারক আনোয়ারুল কবির মামলাটি আমলে নিয়ে এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে কক্সবাজারের সিআইডি পুলিশের ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী ও চকরিয়া উপজেলা এডভোকেট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মিফতাহ উদ্দিন আহমদ।

 

মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- বেলাল উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, আবদুল মালেক, রিয়াজ উদ্দিন, মোহাম্মদ শিফাত, নুরুচ্ছফা, হেলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ শাকিব, ফরিদুল আলম, মোহাম্মদ কাইছার, নুরুল হক, আবদুল জলিল, মোহাম্মদ বাপ্পি, মারুফুল ইসলাম, মোহাদ্দেস ও হেলাল।

 

 

সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী বলেন, ওইদিন মূলত ডাকাতরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার খুঁজতে গিয়ে আমার বোন মুর্শিদা বেগমের বাড়িতে হামলা তাণ্ডব চালিয়ে এই লুটতরাজ করেছে। আমার ভাই ও ভগ্নিপতিকে কুপিয়ে জখম করেছে।

 

তিনি দাবি করেন, ওইদিন বিকালে আমার বোনের বাড়িতে ডাকাতি করার পর একই ডাকাত চক্র একইদিন সন্ধ্যার দিকে সাহারবিলের কোরালখালী এলাকায় পারভেজ উদ্দিনের পশু খামারে ডাকাতি করে। এ সময় ডাকাতরা খামার থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা দামের ৬টি মহিষ লুট করে নিয়ে গেছে।

 

একই ঘটনায় শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী গ্রামের খামার মালিক পারভেজের স্ত্রী সেলিনা আক্তার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

 

অভিযোগে সাহারবিল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কোরালখালী গ্রামের বেলাল, কামাল, আবদু মালেক বাবু, নুরুচ্ছফা, রিয়াজ, সিফাত, হেলাল, কাইছার, নুরুল হক, আব্দু জলিল, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের কদ্দা ছড়ার নয়াপাড়ার ফরিদ, সাকিব, পইল্লা পাড়ার মারুফুল ও বাপ্পিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

 

পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট