মায়ের সাথে ফটিকছড়িতে দাওয়াতে গিয়েছিল রাউজানের শিশু মো. আলভী। নিখোঁজ হওয়ার পর তার নিথর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আলভী রাউজান পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হেদায়ত আলী মুন্সির বাড়ির ওমান প্রবাসী মো. তসলিম উদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, গত শনিবার দুপুরে আলভীকে নিয়ে ফটিকছড়ি উপজেলায় দাওয়াতে গিয়েছিলেন শরীফা আকতার নামে এক গৃহবধূ। সেখানে সবাই যখন দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন তখন আলভী খেলছিল। এরপর নিখোঁজ হয়। পরে রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ওই এলাকার একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের ধারণা, শিশু আলভী খেলতে খেলতে পুকুরে পড়ে গেছে। আলভীর মা শরীফা আকতার বলেন, আমি দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম, ছেলেকে হারিয়ে একা ফিরলাম।
স্থানীয় মো. ইয়াছিন নামে এক ব্যক্তি বলেন, শিশু আলভী মায়ের সাথে ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ সংলগ্ন আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। দুপুরে নিখোঁজ হয়। পরে আমরা ফটিকছড়ি থানায় গিয়েছিলাম। এরপর জানতে পারি শিশুটির মরদেহ পুকুরে পাওয়া গেছে। পরে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফটিকছড়ি থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন বলেন, তথ্য পেয়ে মোবাইল টিম পাঠিয়েছিলাম, তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই বাচ্চার অভিভাবকরা বাচ্চাটির লাশ রাউজান নিয়ে গেছে। কারো কোনো অভিযোগ নেই। তাদের দাবি, বাচ্চাটি পুকুরের ডুবে মারা যায় বলে আমাদের নিশ্চিত করে। তবে কেউ যদি কোনো অভিযোগ নিয়ে আসে আমরা মামলা মোকাদ্দমা নিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
রবিবার বিকেলে আলভীর মরদেহ রাউজান পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে পৌঁছালে স্বজনসহ স্থানীয়দের আহাজারীতে ভারি হয়ে উঠে সেখানকার পরিবেশ।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ