চট্টগ্রামে বাঁশখালীতে সম্পত্তির কারণে খুন হওয়া মো. হাসানকে খুন করে লাশ আট টুকরো করেছিল তার স্ত্রী ও সন্তান। সেই টুকরো লাশের মাথা পাওয়া যায়নি।
ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাঁশখালীতে তার নিজ ঘরের ভেতরে তাকে দাফন করা হয়েছে।
দাফন শেষে নিহত হাসানের বড় ভাই মাহবুব আলী, দেলাল আহমদ, মো. কাসেমসহ স্থানীয় জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে বাড়ির সম্পত্তির জন্য হাসানের জীবন গেল, সে বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়েছে। কেউ যাতে আর এ সম্পত্তি ভোগ করতে না পারে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পরিদর্শক ইলিয়াস খান জানান, হাসান হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তার স্ত্রী ও বড় ছেলে। আদালতে তাদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এছাড়া ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোডের জমির ভিলার ৭ নম্বর বাসায় স্ত্রী ও বড় সন্তান মিলে হাসানকে খুন করে। এরপর মরদেহ কেটে ৮ টুকরা করে লাগেজ ও বস্তায় ভরে পতেঙ্গা ও আকমল আলী রোডের পাশে ফেলে দেয়।
পূর্বকোণ/পিআর/এসি