চট্টগ্রাম সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪

বৃষ্টিতে খাগড়াছড়িতে জলাবদ্ধতা, ক্ষতির মুখে মানিকছড়ির তরমুজ চাষিরা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

৫ আগস্ট, ২০২৩ | ৫:৪৭ অপরাহ্ণ

টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রূপনগর এলাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানিতে আটকা পড়েছে এসব এলাকার বেশকিছু পরিবার। বৃষ্টিতে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রূপনগর, গাউছিয়া নগর, আনন্দনগর এলাকায় পানি নিষ্কাশনের পথগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব এলাকার বহু পরিবার জলাবদ্ধতায় ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও কেউ ড্রেনেজ ব্যবস্থা বা পানি সরানোর ব্যবস্থা না করায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসী মথুরা বিকাশ ত্রিপুরার বাড়ির সামনের অর্ধনির্মিত ড্রেনটি সংস্কার ও নির্মিত না হওয়ায় এ বাড়ির মালিকসহ আশেপাশের পরিবারগুলো পানিতে আটকা পড়ে আছে।

এ ব্যাপারে ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিটন তালুকদার জানান, আমি সরেজমিনে এসে বিষয়টি দেখে যাব।

এদিকে, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার গোরখানা, ছদুরখীল ও যোগ্যাছোলা এলাকার ১০ জন চাষী চলতি মৌসুমে মালচিং পদ্ধতিতে ১ একর জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছেন। প্রতিটি ক্ষেতে তরমুজের ফলন আসতে শুরু করেছে। ফলে টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে তরমুজ চাষিরা।

উপজেলার যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের আছাদতলী এলাকার তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো. দিদারুল আলমের ক্ষেতে গিয়ে দেখা গেছে, নিজ উদ্যোগে ২০ শতাংশ জমিতে আগাম মুলা, ২০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালিন তরমুজ ও ৪০ শতাংশ জমিতে কাঁকরোলের চাষ করেন। জমিগুলো নিচু হওয়ায় টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে এসব জমির ফসল। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষক।

একই গোরখানার এলাকার খোরশেদ আলম ও শামসুল আলমসহ বেশ কয়েকজন তরমুজ ও মৌসুমি সবজি চাষিও ক্ষতির শিকার হয়েছেন।

কৃষক দিদারুল আলম বলেন, ‘মুলা ও তরমুজ ক্ষেতের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশন করেও বিফল। কিছুদিনের মধ্যেই তরমুজের ফলন আসা শুরু করতো। পানি জমে থাকায় গাছগুলো মারা যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছি’!

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট