ঢাকার সরকারি সাতটি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের অধ্যাদেশ জারি ও অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন গঠনের কার্যক্রম ঝুলে থাকার কথা জানিয়ে ফের আন্দোলনে নামছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা।
তারা বলছেন, অধিভুক্তি থেকে মুক্তির পর তাদের ভর্তি কার্যক্রম থেমে গেছে। শিক্ষার্থীরা সেশনজটের মুখে পড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের ঘোষণার দুই মাসেও অধ্যাদেশ জারি হয়নি। গঠন করা হয়নি অন্তর্বর্তী প্রশাসনও।
এ অবস্থায় চলতি মে মাসের মধ্যেই অধ্যাদেশ জারি ও দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের দাবিতে শনিবার তারা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার কথা বলছেন।
সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর আন্দোলনের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মো. নাইম হাওলাদার শুক্রবার বিকালে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “শনিবার বিকাল ৪টায় ইডেন মহিলা কলেজের এক নম্বর গেইটে সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রথম দিকে আমরা সফট কর্মসূচি দেব দ্রুত অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে। কাজ না হলে পরে কঠোর কর্মসূচি, এমনকি ব্লকেডের ঘোষণাও আসতে পারে।
“আমাদের দাবি দ্রুত অন্তর্বর্তী প্রশাসন এবং চলতি মে মাসেই কলেজগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপান্তর করে অধ্যাদেশ জারি।”
ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এ ছাত্র বলেন, “ইউজিসি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের একটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। কিন্তু সেটি ঝুলে আছে৷ এমন পরিস্থিতিতে আমরা আবারও রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
“অধিভুক্তি বাতিলের পর কলেজগুলো অভিভাবকহীন, ভর্তিও বন্ধ। এ পরিস্থিতি সেশন জট সৃষ্টি করবে। অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন হলে ভর্তি শুরু করা যাবে। তবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন ও সাত কলেজকে স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দিয়ে অধ্যাদেশ জারি করতে অনেক সময় লাগছে।”
সাত কলেজের জন্য অন্তর্বর্তী প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপান্তরের অধ্যাদেশের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি। অধ্যাপক ফায়েজ সাত কলেজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় রূপরেখা প্রণয়ন কমিটির প্রধান।
ঢাকার সরকারি সাতটি কলেজ হল- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে শিক্ষার্থী প্রায় দুই লাখ।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ