প্রায় ১২ বছর আগে যশোরের অভয়নগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান বাবা মৃত উজ্জ্বল সরকার। ঠিক একই স্থানে একইভাবে এক যুগ পর ছেলে সুজল সরকারের (২২) মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার হরিশপুর গ্রামে ঘরের পেছনে সেচযন্ত্রের বিদ্যুতের তার টানানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় সে।
নিহত তরুণ উপজেলার আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। সে ২০২৩ সালে এসএসসি পাস করে। এরপর ‘অর্থাভাবে’ আর লেখাপড়া করতে পারেনি। জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষার পর ইঞ্জিনচালিত ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো সুজল। বাড়িতে একাই থাকত সে।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রকিবুল ইসলাম বলেন, বেলা ১টা ১০ মিনিটে সুজল সরকারকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। কিন্তু তার আগেই তার মৃত্যু হয়।
সুজলের কাকা কল্লোল সরকার বলেন, বাড়ির পেছনের দিকে বিলে ১৬ কাঠার ছোট একটি মাছের ঘের আছে। ওই ঘেরে বোরো চাষের সেচের জন্য একটি বৈদ্যুতিক মিটার ছিল। ২০১৩ সালে সেচের জন্য বৈদ্যুতিক মিটার থেকে সেচযন্ত্রে সংযোগ দেয়ার সময় তার টানার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার বাবা উজ্জ্বল সরকার মারা যান। এরপর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে আবেদন করে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
কল্লোল বলেন, ভবদহের কারণে মাছের ঘেরটি জলাবদ্ধ ছিল। সেখানে সুজল বোরো ধান লাগিয়েছে। সেচ দেয়ার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে আবেদন করে সম্প্রতি সে পুনরায় একটি বৈদ্যুতিক মিটারও পায়। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সেচযন্ত্রে সংযোগের জন্য বিদ্যুতের তার টানছিল। একপর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে পাশে বিদ্যুতের আর্থিংয়ের তারের ওপর পড়ে যায়। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে তাকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমাদুল করিম বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সুজল সরকার মারা গেছেন। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
পূর্বকোণ/ইব