চট্টগ্রাম রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সর্বশেষ:

মারতে চাই না, মরতেও চাই না: ডিএমপি কমিশনার

অনলাইন ডেস্ক

৩১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৭:২৯ অপরাহ্ণ

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, পট পরিবর্তনের পর পুলিশ তার পেশাগত দায়িত্ব ও কর্মধারা পরিবর্তন করেছে। আমিও ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।আমার পুলিশ আপনাদের মারতে চায় না। আমরাও মরতে চাই না। আমরা সবাই এ দেশের লোক।শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমি কোনো ব্রিটিশ পুলিশ কমিশনার না। আমার ডানে-বামের সহকর্মীরা কোনো ব্রিটিশ না। ফলে আমি কলোনিয়াল পুলিশ অফিসারের মতো আচরণ করতে পারবো না। রাস্তার মধ্যে পুলিশ মানুষকে লাঠি দিয়ে পেটাবে, এটা আমি চাই না।  

তিনি বলেন, আমি বলেছি, সবাই আমার দেশের লোক; আমিও এ দেশের মানুষ। আমি কারও ওপর লাঠিচার্জ করবো না। আমি প্রতিদিন বিশেষজ্ঞদের দিয়ে আমার পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।  

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজের ঘটনায় আমি বারবার বলেছি, আমরা কোনো লাঠিচার্জ করবো না। রক্তক্ষয়ী সংঘাত ঠেকাতে একটি-দুটি সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়েছে। আমি তো আমার ছেলেদের নীলক্ষেত দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দিতে পারি না। তাহলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেধে যায়।

তিনি বলেন, আমি ঢাকাবাসীর পুলিশ কমিশনার। ঢাকাবাসীকে নিরাপদ রাখা আমার পবিত্র দায়িত্ব। কিন্তু প্রতিদিন যে হারে প্রোগ্রাম হচ্ছে, আপনি কীভাবে কাজ করবেন। আজও এতগুলো প্রোগ্রাম। পুলিশ হেডকোয়ার্টার ঘেরাওয়ের প্রোগ্রামও আছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরের ট্রাফিকের অবস্থা বেশ নাজুক। মানুষ কষ্ট পাচ্ছে; আমিও কষ্ট পাই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ রাস্তার মধ্যে আটকে থাকে। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সবাই রাস্তা অবরোধ করছে। মানুষকে অনুরোধ করবো, ছোটখাটো দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তা বন্ধ করবেন না। ফুটপাতে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করুন। কিন্তু খুবই দুঃখজনক ঘটনা। যেকোনো দাবি-দাওয়ার মুখ্য হয়ে উঠেছে রাস্তা অবরোধ করা। একজন বয়োবৃদ্ধ মানুষ বা একজন অসুস্থ রোগী যেতে পারছে না। উত্তরা থেকে রওনা হয়ে মতিঝিল পৌঁছাতে সাত ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। খুবই ভয়াবহ ঘটনা।

পূর্বকোণ/আরআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট