চট্টগ্রাম সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সর্বশেষ:

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে একসাথে কাজ করবে বাংলাদেশ ও ইউএনএইচসিআর

অনলাইন ডেস্ক

২২ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১২:১৩ অপরাহ্ণ

রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান খুঁজে বের করতে বাংলাদেশের সঙ্গে ইউএনএইচসিআর একযোগে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাতকালে এ কথা জানান তিনি।

 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সোমবার (২০ জানুয়ারি) শুরু হওয়া পাঁচদিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার মূল সম্মেলনের ফাঁকে কয়েকটি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।

 

প্রেস উইং জানায়, ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডির সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলেন। সংকটের সমাধানে, বিশেষ করে চলতি বছরের শেষের দিকে এ বিষয়ে একটি বৈশ্বিক সম্মেলন আয়োজনে গ্র্যান্ডির সমর্থন চান তিনি। ড. ইউনূস বলেন, ‘এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ জবাবে গ্র্যান্ডি বলেন, ‘আমরা আপনাকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’

 

বাংলাদেশে এখন রোহিঙ্গার সংখ্যা ১২ লাখেরও বেশি। এর মধ্যে আট লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী কয়েক মাসে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিধনযজ্ঞ ও গণহত্যার মুখে। সম্প্রতি রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাতের জেরে আরও প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা এসেছে।

 

ড. ইউনূস বলেন, এত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার আগমন বাংলাদেশের ওপর আরও বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। রোহিঙ্গা সংকটের ওপর বিশ্বব্যাপী মনোযোগ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। তারা আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে।

 

সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থল নির্মাণে উন্নত উপকরণ ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার জন্য গ্র্যান্ডি প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। পূর্বে রোহিঙ্গাদের কেবল বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে ঘর তৈরির অনুমতি ছিল। বৈঠকে তারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মানবিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন।

 

এর আগে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজের সঙ্গে বৈঠকেও রোহিঙ্গা ইস্যু তোলেন প্রধান উপদেষ্টা। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য সেফ জোন তৈরিতে জার্মানির সমর্থন চান তিনি। এদিন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. ইউনূস।

 

পূর্বকোণ/মাহমুদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট