চট্টগ্রাম বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় বাস্তুচ্যুত সোয়া লাখ ফিলিস্তিনি : জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৯ অক্টোবর, ২০২৩ | ১১:২০ পূর্বাহ্ণ

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে। আর এই হামলার জেরে গাজায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের বাড়ি এবং অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংকে লক্ষ্য করে চালানো এই হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার ফিলিস্তিনি।

জাতিসংঘের বরাত দিয়ে সোমবার (৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘরবাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণের ফলে গাজায় প্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৩৮ জন ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সংস্থা।

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় তার সর্বশেষ আপডেটে জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলার মুখে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়া ফিলিস্তিনিদের অনেকেই উপকূলীয় এই ভূখণ্ডের প্রায় ৬৪টি স্কুলে আশ্রয় নিচ্ছেন।

জাতিসংঘের এই কার্যালয় থেকে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হওয়া উল্লেখযোগ্য ভবনগুলোর মধ্যে চারটি বড় টাওয়ারও রয়েছে যেগুলোতে বহু আবাসিক ইউনিট ছিল। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত মোট ১৫৯টি আবাসন ইউনিট ধ্বংস হয়েছে এবং ১ হাজার ২১০টি গুরুতর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

এদিকে গাজায় শতাধিক মানুষকে বন্দি করে রেখেছে হামাস। স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলে হামলার পর তারা ১০০ জনেরও বেশি লোককে বন্দি করে রেখেছে।

মুসা আবু মারজুক রোববার আরবি ভাষার সংবাদমাধ্যম আল-গাদকে এ কথা জানান। তিনি বলেন, যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে ইসরায়েলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রয়েছেন। অন্যদিকে এই বন্দি ছাড়াও ফিলিস্তিনের আরেক স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের হাতে বন্দি রয়েছে ৩০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি।

ইসলামিক জিহাদের প্রধান জিয়াদ আল-নাখালা রোববার বলেছেন- তার দল ৩০ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে বন্দি করে রেখেছে। গত শনিবার হামাস ইসরায়েলে হামলা শুরু করার পর গাজা উপত্যকায় তাদের অপহরণ করা হয়েছিল।

ইসরায়েলি কারাগারে আটক থাকা হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বন্দির কথা উল্লেখ করে আল-নাখালা আরও বলেন, ‘আমাদের সমস্ত বন্দির মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত এসব বন্দিকে প্রত্যাবাসন করা হবে না।’

এর আগে গত শনিবার রাতে হামাসের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন হামলার সময় বহু ইসরায়েলি সৈন্যকে আটক করেছে তারা। আর সেটি ইসরায়েলি কারাগারে থাকা সমস্ত ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্ত করার জন্য যথেষ্ট।

আল জাজিরা বলছে, হামাস যোদ্ধারা যেসব ইসরায়েলিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে গেছে তাদের মধ্যে নারী, শিশু এবং বৃদ্ধরাও রয়েছেন। হামাস এবং ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তাদের সঠিক সংখ্যা স্পষ্ট হয়নি।

অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও স্বীকার করেছে যে, হামাসের হামলায় তাদের সৈন্য ও কমান্ডাররা নিহত হয়েছে এবং অনেককে যুদ্ধবন্দি হিসেবে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তবে ঠিক কতজন সেনাকে হামাস বন্দি করে নিয়ে গেছে তার কোনও পরিসংখ্যান দেয়নি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

 

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন