চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

টিকায় শতভাগ মৃত্যুরোধ সম্ভব

বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক 

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ১২:৪১ অপরাহ্ণ

একসময়ে বছরে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে দুই হাজারের অধিক রোগীর মৃত্যু ঘটতো। বর্তমানে সংখ্যাটি অর্ধশতের নিচের নেমে এসেছে। শুধু মানুষ নয়, এ জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে বছরে প্রায় ২৫ হাজার গবাদিপশুও জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়।

এ অবস্থায় সচেতনতা ও টিকা প্রয়োগে গুরুত্বারোপ করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, টিকা নেওয়ার মাধ্যমে শতভাগ মৃত্যুরোধ করা সম্ভব। এমন বাস্তবতার মধ্যেই বিশে^র অন্যান্য দেশে ন্যায় বাংলাদেশও আজ পালিত হচ্ছে বিশ^ জলাতঙ্ক দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- ‘জলাতঙ্কের অবসান, সকলে মিলে সমাধান’। সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও পালিত হয়েছে বিশ^ জলাতঙ্ক দিবস। গতকাল চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ^বিদ্যালয় (সিভাসু), চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে গতকাল ও আজ দিবসটি পালিত হচ্ছে।

চিকিৎসকরা জানান, জলাতঙ্ক রোগ শুধু কুকুর কামড়ালেই হয় না। বিড়াল, শিয়াল, বেজি, বানরের কামড় বা আঁচড়ের মাধ্যমেও এই রোগ হতে পারে। প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে পানিভীতি, আলোভীতি, বায়ুভীতি হলেও এর শেষ পরিণতি মৃত্যু। তবে এই রোগ শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য। যদি কোনও প্রাণী, বিশেষ করে কুকুর, বিড়াল, বানর, বেজি, শিয়াল কামড় বা আঁচড় দেয়, সঙ্গে সঙ্গে সাবান পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান ১৫ মিনিট ধুতে হবে এবং সময়মতো জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা নিলে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চসিক জেনারেল হাসপাতালে গত এক বছরে প্রায় দেড় হাজার মানুষকে এন্টির‌্যাবিস টিকা প্রদান করা হয়। এছাড়াও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রতিমাসে পাঁচ থেকে ছয়শ টিকা প্রদান করা হয়ে থাকে।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, কুকুর কিংবা বিড়াল জাতীয় প্রাণীর কামড় খাওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব নিকটবর্তী হাসপাতালে গিয়ে টিকা নিতে হবে। সরকার বিনামূল্যে এই টিকা দিচ্ছে। এক্ষেত্রে ঝাড়ফুঁক ও কবিরাজি চিকিৎসা থেকে বিরত থাকতে হবে।’

 

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট