যুক্তরাজ্য যেতে পারলেন না চিত্রনায়িকা নিপুণ। গোয়েন্দা সংস্থার আপত্তির প্রেক্ষিতে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডন যাওয়ার সময় তাকে আটকে দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
জানা যায়, শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০১ ফ্লাইটে যুক্তরাজ্য যাওয়ার কথা ছিল তার। পথে ইমিগ্রেশন থেকে তাকে আটকানো হয়। পরে তাকে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) আপত্তির মুখে নিপুণকে আটকে দেওয়া হয়। শুক্রবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ২০১ ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন তিনি। মুখে মাস্ক পরে বোর্ডিং পাসের পর ইমিগ্রেশন শেষ করার একপর্যায়ে তাকে চিনে ফেলেন ইমিগ্রেশন বিভাগের দায়িত্বশীলরা।
পরে তাকে ইমিগ্রেশন পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। একইসঙ্গে ওই ফ্লাইটে তার যাত্রা বাতিল করা হয়। চিত্রনায়িকা নিপুণ বিমানবন্দরে নিজেকে নাসরিন আক্তার দাবি করেন। তার পাসপোর্টেও নাম রয়েছে নাসরিন আক্তার। পাসপোর্টে স্থায়ী ঠিকানা ঢাকার বনানী উল্লেখ রয়েছে।
এদিকে, একটি সূত্র বলছে, ফ্লাইট বাতিল হওয়ার পর তাকে ইমিগ্রেশন থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরে তিনি বিমানবন্দর থেকে বাইরে চলে যান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শোবিজে আওয়ামীপন্থী তারকাদের অনেকে আত্মগোপনে চলে যান।
চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার দেশে নাকি লন্ডনে সেটি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। আগেই গুঞ্জন উঠেছিল লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় দেশেই রয়েছেন নিপুণ। দেশেই আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে দেশ ছাড়তে পারেননি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে আলোচিত হন এই অভিনেত্রী। বিশেষ করে সমিতির নির্বাচনে পরাজিত হয়ে মামলা করে চেয়ারে বসে হন বিতর্কিত। এফডিসিকেন্দ্রিক একটি শক্তির প্রকাশ করেন নিপুণ। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার সহযোগিতা নেন তিনি। আওয়ামী সরকারের পতনের পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে থাকে।
পূর্বকোণ/মাহমুদ