বন্ধ হয়ে যাওয়া আমিন জুট মিল পরিচালনায় করতে চায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে নগরীর টাইগারপাসে অস্থায়ী নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এমন আগ্রহ প্রকাশ করেন মেয়র শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, পরিবেশ বাঁচাতে পলিথিনি বন্ধ করতে হবে। পলিথিন বন্ধ করলে বিকল্প তো লাগবে। জনগণকে তো পলিথিনের বিকল্প দিতে হবে। সেক্ষেত্রে বিকল্প হতে পারে পাটের ব্যাগ। আমিন জুট মিল চালু থাকলে সেটা সম্ভব হতো। সেখানে দুই হাজারের উপর শ্রমিক ছিল। তাদের কর্মসংস্থান নেই, এখন বেকার। পাশাপাশি পাট জাতীয় কোনো জিনিস বের হচ্ছে না। আমাকে আনতে হবে সেই নারায়ণগঞ্জ কিংবা ঢাকা থেকে। সুতরাং আমার চট্টগ্রামে একটা পাটশিল্প থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।
মেয়র বলেন, পাটের ব্যাগ থাকলে কালকেই আমি গিয়ে গিয়ে অভিযান চালিয়ে সমস্ত পলিথিন বের করে ফেলতাম। জনগণকে হাতে দেওয়ার মত তো আমার কিছু নেই। কাজেই আমি মনে করি- সরকার যদি উদ্যোগ নেয়, আমরা সিটি করপোরেশন সেটা টেকওভার করতে পারব। ইতোমধ্যে আমি পাট মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলাম। সচিবের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। উনি সিটি করপোরেশনকে দিতে চান। কিন্তু এত ভাড়া বলেছেন, সেটা ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট ছাড়া নেয়াটা দুরূহ।
সরকার ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করে শাহাদাত বলেন, যদি তারা উদ্যোগ নেয় এবং বলে যে ভাড়াটা ৫০ লাখ চাচ্ছে, সিটি করপোরেশনকে এটা দিলাম। তারা ভাড়াটা ১০ লাখ দিবে। আমরা দিতে পারব। আমরা তো পাশাপাশি কিছু কর্মসংস্থানও করছি।
মেশিনগুলো আছে কিন্তু। যদি আবার শুরু করি সেগুলো রিমডেলিং করতে ১৫-২০ কোটি টাকা লাগবে। আমি নিজে সরেজমিন গিয়েছি। এ ধরনের উদ্যোগ সরকারি পর্যায়ে উৎসাহিত করলে বেশি পরিমাণে আমরা করতে পারব।”
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২০ সালের জুলাই মাসে যে ২৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে দেওয়া হয়, তার মধ্যে চট্টগ্রামের আমিন জুট মিল অন্যতম।
১৯৫৪ সালে স্থাপিত কারখানাটি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের অধীনে আসে। নগরীর ষোলশহরে প্রায় ৮০ একর জমির উপর এই পাটকলটির স্থাপনা ও যন্ত্রপাতি এখন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। ব্যবহার না থাকায় এসব যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি পাটকল শ্রমিকদের।
পূর্বকোণ/পিআর