প্রাথমিক পর্যায়ে অসুস্থতার কোন উপসর্গ না থাকার কারণে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে আক্রান্তরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসছে শেষ পর্যায়ে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের কিডনি রোগী বিভাগের তথ্য অনুসারে, বছরে প্রায় চার হাজার কিডনি রোগী অন্তঃবিভাগে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এদের মধ্যে প্রায় ৫৭ শতাংশ রোগীই হচ্ছেন দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগী; ২৩ শতাংশ সাময়িক কিডনি বিকল রোগী। শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে আসা এসব রোগী চিকিৎসা নিলেও তাতে সফলতা কমে যায় বলে জানিয়েছেন কিডনি বিশেষজ্ঞরা।
চমেক হাসপাতালের এক গবেষণায় বলা হয়, হাসপাতালের কিডনি ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ হলো- ৩৪ শতাংশ নেফ্রাইটিস, ২৮ শতাংশ ডায়াবেটিস এবং ১৭ শতাংশ উচ্চরক্তচাপ। আর সাময়িক কিডনি বিকল হওয়ার কারণগুলোর অন্যতম হলো- ইনফেকশন ৬০ শতাংশ এবং ডায়রিয়া ১৪ শতাংশ।
চমেক হাসপাতালের কিডনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, কিডনি চিকিৎসা যথেষ্ট ব্যয়বহুল। তাই আমাদের প্রতিকারের দিকে নজর দেওয়া উচিত। সেজন্য নেফ্রাইটিস, ইনফেকশন ও ডায়রিয়ার সঠিক এবং দ্রুত চিকিৎসা করা দরকার। এছাড়া ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্তচাপ অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ব্যথানাশক ওষুধ এবং এন্টিবায়োটিক চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনমতেই খাওয়া যাবে না।
এমন বাস্তবতার মধ্যেই আজ বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব কিডনি দিবস। প্রতিবছর মার্চের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হয়। এবার দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়- ‘আপনার কিডনি কি সুস্থ্য? দ্রুত শনাক্ত করুন, কিডনি স্বাস্থ্য সুরক্ষা করুন’। দিবসটি উপলক্ষে চমেক হাসপাতালের কিডনি বিভাগের উদ্যোগে বৈজ্ঞানিক সেমিনার, র্যালিসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
পূর্বকোণ/ইব