পড়ন্ত বিকেলে শুরু হয় ইফতারের আয়োজন। বেলা গড়ানোর সাথে সাথে বেড়ে যায় ব্যস্ততার। যেখানে একপাশ থেকে দেখা মিলে কর্ণফুলী নদীতে ভাসমান জাহাজের সারি, অপর পাশে ব্যস্ততম শহর। সেখানেই সবার অপেক্ষা মাগরিবের আজানের! জমজমাট এ ইফতার আয়োজন নগরীর চার তারকা হোটেল বেস্ট ওয়েস্টার্ন এস কে এস। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে ৭০টির বেশি দেশি বিদেশি আইটেম। হোটেলটির অবস্থান আগ্রাবাদের সেনা কল্যাণ সংস্থা ভবনে।
হালিম, মেজবানি, তেহারি, চিকেন গ্রিল, সাসলিক, কাটলেট, তান্দুরি, দইবড়া, শাহি জিলাপি থেকে শুরু করে ইফতারে প্রয়োজনীয় সবকিছু মিলছে হোটেলটিতে। গ্রাহকদের জন্য হোটেলটিতে থাকছে ইফতার ও ডিনারের ব্যুফে প্যাকেজ। হোটেলের লেভেল-২ তে অবস্থিত ‘পতেঙ্গা রেস্তোরাঁতে’ ব্যুফে ইফতার ফলোড বাই ডিনার (বাই ওয়ান গেট ওয়ান অফার) যার সাথে থাকছে ৭০টিরও বেশি আইটেম এবং সেই সাথে সেহেরির আয়োজনও করা হয়েছে।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন এই চার তারকা মানের হোটেলটি অন্যান্য বছরের মতো এবারো অতিথিদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদানের লক্ষে ব্যতিক্রমী, সুস্বাদু ও রকমারি খাবারের আয়োজন করেছে। হোটেলটি প্রতিদিন নানা স্বাদের ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের এক সমৃদ্ধ ইফতার পরিবেশন করছে। মেন্যুতে থাকছে শাহী হালিম, শাহী জিলাপি, বিফ মেজবানি, মাটন তেহারিসহ দেশি বিদেশি ঘরানার আরো হরেক রকমের বাহারি ইফতার।
এছাড়াও রয়েছে সর্বসাধারণের সুবিধার্থে সর্বনিম্ন ৭০০ টাকা থেকে শুরু বিশেষ সেট মেন্যু। কর্পোরেট ও পারিবারিক আয়োজনে এই সমস্ত সেট মেন্যুর সাথে থাকছে বিশেষ ছাড়ে পৃথক ভেন্যু সাম্পান, ঝিনুক, কর্ণফুলী ও নোঙ্গর হল বুকিং করার সুবিধা। যেখানে ৩০ থেকে ৩০০ জন পর্যন্ত অতিথির একসঙ্গে বসে ইফতারের ব্যবস্থা রয়েছে।
এর বাইরে আলাদাভাবেও হোটেলটির ইফতারির বাজার থেকে কেনাকাটা করার সুযোগ রয়েছে। সেখানে প্রতি কেজি মাটন হালিম ১ হাজার ১৯৯, বিফ হালিম ৯৯৯, রেশমি জিলাপি ৭৫০, শাহি জিলাপি ৬৫০ ও ফিরনি ৩৫০ টাকা দাম রাখা হচ্ছে। এছাড়া প্রতি বিফ তেহারি ৪৫০, মাটন তেহারি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হোটেলটির অপারেশন ম্যানেজার ইয়াসিন আরাফাত বলেন, রুফটপ ঘুড্ডি বারবিকিউ রেস্তোরাঁতে বিশেষ সেট মেন্যুর সুবিধার সাথে এই রমজানে, পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে একসাথে ইফতার ও সেহরি উপভোগ করা যাবে বেস্ট ওয়েস্টার্ন এস কে এস হোটেলের অভিজাত পরিবেশে! গ্রুপ বুকিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যুফে সুবিধাও থাকবে।
পূর্বকোণ/ইব