চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫

সর্বশেষ:

রিক্যাপ’র তথ্য : বন্দর জলসীমায় কমছে জাহাজে দস্যুতার ঘটনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ মার্চ, ২০২৫ | ২:৫৩ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমা কয়েক বছর আগে দস্যূতা শূন্য থাকলেও ২০২৩ সালে ১টি এবং ২০২৪ সালে এসে ১২টি ঘটনা ঘটে। শুধুমাত্র গতবছরের প্রথম দুই মাস জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেই ঘটে ৪টি ঘটনা।

 

তবে চলতি বছরে (২০২৫) এসে বন্দর জলসীমা আবারও নিরাপদ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। কারণ চলতি বছরের এই দুই মাসে চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় আসা-যাওয়া জাহাজে কোন দস্যুতার ঘটনা ঘটেনি বলে রিক্যাপের তথ্যে উঠে এসেছে।

 

এশিয়ায় জাহাজে চুরি-ডাকাতি ও দস্যুতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা রিক্যাপের তথ্য অনুযায়ী, বিশেষ কিছু কৌশল নেওয়ায় ২০১৯ সাল থেকেই বাংলাদেশের জলসীমায় ধাপে ধাপে দস্যুতার ঘটনা কমে আসছিল। আর ২০২৩ সালে এক বছরে মাত্র একটি ঘটনা রেকর্ড করেছিল রিক্যাপ। এতে বেশ সুনাম কুড়িয়েছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

 

কিন্তু সেই সুনাম বেশিদিন ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের শুরু থেকেই সেই সুনামে ছেদ পড়ে। জানুয়ারি থেকে একটি একটি করে বাড়ছিল দস্যুতার ঘটনা। ফেব্রুয়ারিতে ৩টি ঘটনা ঘটে। এরপর বছর শেষে দেখা যায় চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় ১২টি ও মোংলা বন্দর এলাকায় ১টি দস্যুতার ঘটনা ঘটে।

 

রিক্যাপের হিসেবে, ২০১০ সালেই বাংলাদেশের জলসীমায় সবচেয়ে বেশি ২৪টি দস্যুতার ঘটনা ঘটেছিল। কমতে কমতে ২০১৩ সালে সেটি ৬টিতে নেমেছিল। ২০১৪ সালে আবারও বেড়ে ১৬টিতে উঠেছিল। ২০১৮ সালে সেটি ১১টিতে নামে। ২০১৯ সালে সেটি শূন্যের কোঠায় নামায় সাফল্য দেখিয়েছিল চট্টগ্রাম বন্দর। এরপর ২০২১ সাল ঘটনাশূন্য ছিল। মাঝখানে ২০২০ সালে ৫টি, ২০২২ সালে ৫টি ঘটনা রেকর্ড করেছিল রিক্যাপ। এরপর ২০২৩ সালে মাত্র একটি ঘটনা তালিকাভুক্ত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল সংস্থাটি।

 

রিক্যাপের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশের জলসীমায় মোট ১৭০টি ঘটনা (১৫৩টি প্রকৃত ঘটনা এবং ১৭টি চেষ্টার ঘটনা) রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে মোট ১৫৯টি ঘটনা (৯৪%) ঘটেছে বন্দরে কিংবা নোঙর করার সময়, বাকি ১১টি ঘটনা (৬%) জাহাজ চলাকালীন সময়ে ঘটেছে। এই ১৮ বছরে ২০১০ সালে সর্বাধিক ঘটনার রেকর্ড ছিল। ওই বছর মোট ২৪টি ঘটনা ঘটেছিল। তবে ধীরে ধীরে তা কমে ২০১৯ ও ২০২১ সালে দস্যুতা শূন্য ছিল বাংলাদেশের জলসীমা।

 

উল্লেখ্য, দেশের বন্দর জলসীমায় দস্যুতা, চুরি, ডাকাতি প্রতিরোধে কাজ করে মূলত তিনটি প্রতিষ্ঠান। কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টায় বন্দর জলসীমায় বিদেশি জাহাজে দস্যুতাকে শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছিল।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট