চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এক কলেজছাত্রী গণধর্ষণের অভিযোগ তোলার পর অপহরণ ও শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় ছাত্রীর সাথে বেড়াতে যাওয়া এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবকের নাম মো. রাকিব (৩২)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার দুপুরে সীতাকুণ্ড গার্লস স্কুলের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তার ছোট দুই ভাই ও রাকিব নামে এক বন্ধুকে নিয়ে মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে যায়।
সেখানে তারা বেড়িবাঁধ পার হয়ে সৈকতের দিকে যাবার সময় চার যুবক তার বন্ধু রাকিবকে মারধর করে ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় পাশের কেওড়া বনে। এক পর্যায়ে বনের ভেতর থেকে ওই শিক্ষার্থী চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় ওই শিক্ষার্থীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তার কাছে জানতে চাইলে সে জানায় অপহরণকারী চার যুবক তাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা তার জবানবন্দি ভিডিও করে ছড়িয়ে দিলে সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এছাড়া মুঠোফোনে ছাত্রীটি সাংবাদিকদের কাছেও তাকে গণধর্ষণ করেছে বলে জানায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এদিকে মেয়েটিকে থানায় আনার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবর রহমান জানান, মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়নি। তাকে ওই চারজন শ্লীলতাহানি করেছে। চিৎকার করায় তারা ধর্ষণ করতে পারেনি। মেয়েটির পূর্বের ভিডিও বক্তব্য সম্পর্কে ওসি কোন মন্তব্য করেননি। এদিকে রাতে এ ঘটনায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রীর মা।
সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে একটি অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করলে আমরা অভিযান চালিয়ে মেয়েটির সাথে থাকা রাকিবকে গ্রেপ্তার করেছি। এছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ছাত্রীর দেয়া ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর আবার ঘটনাটি অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টা বলে প্রচার করায় প্রকৃত ঘটনা আড়াল করা হচ্ছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ। ঘটনার পর মেয়েটির পরিবারকে কোন প্রভাবশালী মহল চাপ প্রয়োগ করেছে কিনা সামাজিক মাধ্যমে অসংখ্য মানুষ এমন প্রশ্নও তুলেছেন।
পূর্বকোণ/পিআর