চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫

সর্বশেষ:

পরিবহন সেক্টরের চাঁদাবাজদের রুখে দিতে হবে : এস এম লুৎফর রহমান

বিজ্ঞপ্তি

৮ মার্চ, ২০২৫ | ৯:২৭ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান বলেছেন, পরিবহন সেক্টরের একদল চাঁদাবাজ পালিয়ে গেছে। তাদের শূন্যস্থানে আরেকদল মানুষ চাঁদাবাজি শুরু করেছে। চাঁদাবাজদের দৌরত্ম্যে পরিবহন শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। আমরা বিশ্বাস করি চাঁদাবাজরা কোন দলের নয়। তারা দলের নাম ভাঙিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধার করে। তাই এসব চাঁদাবাজদের সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে।

 

তিনি আজ শনিবার চট্টগ্রামের একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের মহানগর সভাপতি কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসেনের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আকবরশাহ থানা আমির আব্দুল হান্নান চৌধুরী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরের ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুন্নবী, সিএনজি অটোরিকশা শাখার সভাপতি বসির আহমদ, শ্রমিক নেতা আব্দুল কাদের, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

 

মাহফিলে এস এম লুৎফর রহমান আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি একদল মানুষ ব্যানার পরিবর্তন করে পতিত ফ্যাসিস্টের ন্যায় আচরণ শুরু করেছে। ৫ আগস্টের পরপরই তারা দেশের বাস টার্মিনাল, ট্রাক স্টান্ড ও টেম্পু স্টান্ড দখল করে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। জুলাই বিপ্লবের বীর সেনানীরা তাদের এই অপকর্ম মেনে নিবে না। ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রজন্ম নব্য দখলদারদের টেম্পু স্টান্ড নামে আখ্যায়িত করেছে। আমরা সকল শ্রমিক সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিচ্ছি, আগামীর বাংলাদেশে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও দখল বাণিজ্যের দিন শেষ। আজদেকর তরুণরা এই দেশে আর কোনো অপশাসন প্রতিষ্ঠা হতে দিবে না। তরুণরা এই সুস্থধারার রাজনীতি চায়। সুতরাং যারা অতীতের মত অপরাজনীতি করবে এদেশের তরুণরা তাদেরকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করবে।

 

তিনি বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের নানামুখী সমস্যা। রাস্তায় গাড়ির কাগজপত্র ঠিক থাকলেও ট্রাফিক পুলিশরা অন্যায়ভাবে মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের থেকে ঘুষ গ্রহণ করে। এই টাকা মালিকরা দেয় না। পরিবহন শ্রমিকদের আয় থেকে কাটা যায়। আমরা পুলিশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি সকল ধরনের ঘুস গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য। পরিবহন শ্রমিকদের অন্যায়ভাবে হয়রানি না করার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা লক্ষ্য করছি, বিআরটিতে পরিবহন শ্রমিকদের লাইন্সেস প্রদানে টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি বিআরটিকে ঢেলে সাজানোর জন্য। শ্রমিক হয়রানি বন্ধের জন্য বিআরটির সকল কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করতে হবে।

 

এস এম লুৎফর রহমান বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের শ্রমিক হিসাবে ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করতে হবে। তাদের নিয়োগপত্র দিতে হবে। এ সেক্টরের সকল দাবি অবিলম্বে মেনে নিতে হবে।

 

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট