আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে নিম্নমানের সেহরি ও ইফতার যাত্রীদের কাছে গলাকাটা দামে বিক্রির অভিযোগ করেছে যাত্রী অধিকার আদায়ে কর্মরত সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে দেয়া পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এমন অভিযোগ করেন সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ম ও ২য় রমজানে আন্তঃনগর ট্রেন ত‚র্ণা নিশিতা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, তিস্তা এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, কালনি এক্সপ্রেস, হাওর এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেস, কক্সবাজার এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলি, একতা এক্সপ্রেস, সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে সেহরি ও ইফতারি সরবরাহ কার্যক্রম পরিদর্শন করা হয়। এতে দেখা গেছে, প্রায় সবকটি ট্রেনে নিম্নমানের খাবার অযোগ্য সেহরি সরবরাহ করা হচ্ছে। এসব সেহরি প্যাকেটজাতকরণে গাফিলতির কারণে অনেক খাবার নষ্ট হয়ে গেছে।
এছাড়া ইফতারিতে ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, জিলাপি, আপেলসহ যেসব উপাদান যে পরিমাণে দেয়ার কথা- ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সেই পরিমাণে দেয়া হচ্ছে না। প্রতিটি ট্রেনে রেলওয়ে কর্তৃক সরবরাহকৃত সেহরি ও ইফতারির মূল্যতালিকা প্রত্যেক কোচের যাত্রীদের কাছে দৃশ্যমান যায়গায় লাগানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও কোন ট্রেনে তা পাওয়া যায়নি। এমনকি কোন ট্রেনের ক্যান্টিনেও সেহরি ও ইফতারির মূল্যতালিকা সাঁটানো হয়নি। ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠান রশিদ দিয়ে দাম নেয়ার কথা থাকলেও রশিদ ছাড়াই খাবারের দাম আদায় করছে।
এছাড়াও প্রতিটি ট্রেনে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দাম আদায় করছে ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে করে যাত্রীস্বার্থ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অতিরিক্ত মূল্য দিয়েও মান-গুণহীন সেহরি খেতে না পেরে অধিকাংশ যাত্রী সেহরির খাবার ফেলে দিচ্ছেন। এমন অবস্থায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রেলপথ উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
পূর্বকোণ/ইব