মুনাফালোভী সিন্ডিকেটের রোষানলে পড়ে অক্সিজেন-ফটিকছড়ি সড়কে চলাচল করা যাত্রীবান্ধব বাস সার্ভিস ‘চট্টলা চাকা’ বন্ধের খবর দৈনিক পূর্বকোণে প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জনপ্রিয় এই পরিবহন সার্ভিসটি দ্রুত চালু ও বন্ধের পেছনে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা। শুধু তাই নয়, দ্রুত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই পরিবহন সার্ভিসটি সড়কে না ফেরালে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) “জনপ্রিয়তাই কি কাল হলো ‘চট্টলা চাকা’র” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে দেশসেরা আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক পূর্বকোণ। এরপর থেকেই ওই সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করে ও সংবাদের মন্তব্যের ঘরে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন যাত্রীরা।
মোহাম্মদ আলাউদ্দিন নামের এক যাত্রী বলেন, লোকাল বাসের ভাড়া কমিয়ে ৫০ টাকা করতে হবে এবং এসি বাসের ভাড়া ১০০ টাকাই ঠিক রাখতে হবে। লোকাল বাসগুলো সিটের চেয়ে দাঁড়িয়ে যাত্রী বেশি নেয়। এরপরও তাদের খিদে মিটছে না। এসি বাস পুনরায় চালুর জোর দাবি জানাচ্ছি। মো. রায়হান তালুকদার নামের আরেকজন বলেন, এরকম একটি নিরাপদ ও আরামদায়ক পরিবহন হঠাৎ বন্ধের কারণ খতিয়ে দেখা হোক।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ‘চট্টলা চাকা’ বাস সার্ভিস চালুর আগের দুর্ভোগের কথা জানিয়ে মোহাম্মদ আরিফ নামের আরেক যাত্রী বলেন, আগে লোকাল বাসের ভোগান্তি থেকে বাঁচার জন্য শহর থেকে অনেক ভয়ে ভয়ে সিএনজি অটোরিকশাযোগে ফটিকছড়ি যেতাম। চট্টলা চাকা আসার পর তাদের বাসের সার্ভিস ভালো লাগায় নিয়মিত ওই বাসেই চলাচল করতাম। আর ফটিকছড়িতে এত সুন্দর একটি সার্ভিস চালু হওয়ার কারণে গর্ব করতাম।
জনপ্রিয় চট্টলা চাকা বাস সার্ভিস বন্ধের খবরে বিস্ময় প্রকাশ করে মোহাম্মদ আব্দুল মন্নান নামের একজন বলেন, আটজনের সিন্ডিকেটের কাছে লক্ষ মানুষ জিম্মি! তুলনামূলক উন্নত সেবার আরামদায়ক ‘চট্টলা চাকা’ বাসকে ফের অক্সিজেন-ফটিকছড়ি রুটে ফেরাতে আন্দোলনের কথা বলেছেন আরও অনেক যাত্রী।
একই কথা বলেছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘চট্টলা চাকা’ বাস সার্ভিসটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এর মানে তারা নিশ্চয় অন্যদের চেয়ে তুলনামূলক ভালো সেবা দিয়েছে। এটা বন্ধের পেছনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। দ্রুত এই বাস সার্ভিস সড়কে না ফেরালে অক্সিজেন বাসস্টেশন এলাকায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো আমরা।
পূর্বকোণ/ইব