বিনা বিচারে আটক কিংবা অসচ্ছল কারাবন্দীদের আইনি সহায়তা প্রদানে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস কাজ করছে। জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. আজিজ আহম্মদ ভূঞা এ কথা জানান।
তিনি বলেছেন, গরীব দুঃখীর মামলার ব্যয় সরকার দেয়। কেউ মিথ্যা মামলার জালে জড়ালে, সরকারি আইন সহায়তার সুযোগ মেলে। বিনা বিচারে আটক কিংবা অসচ্ছল কারাবন্দীদের আইনি সহায়তা প্রদানে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস কাজ করছে। কারা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবন্দিদের স্মার্ট আইনি সেবা সহজিকরণে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার লিগ্যাল এইড কর্ণার উদ্বোধন এবং প্রাতিষ্ঠানিক গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম জেলাকে স্মার্ট জেলা গড়ার লক্ষে সরকারি আইনি সেবাকে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছে চট্টগ্রাম জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি। সকল কারাবন্দীর আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চাওয়ার অধিকার রয়েছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছলতার কারণে যাতে কোনো বন্দি বিনা বিচারে কারাগারে আটক না থাকেন এরজন্য সরকার জেলা পর্যায়ে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস চালু করেন। সারাবিশ্বে যতগুলো মানবাধিকার সনদ রয়েছে সব জায়গায় কারাবন্দীদের আইনি সহায়তার কথা রয়েছে।
কর্মসূচির শুরুতে বেলুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে বাংলাদেশের প্রথম ‘চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার লিগ্যাল এইড কর্ণার’ উদ্ধোধন করেন অতিথিবৃন্দ। পরে সিনিয়র জেল সুপার মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) সুপার মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেনটেশনের মাধ্যমে উপস্থান করেন মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী, যুগ্ম জেলা জজ মো. খাইরুল আমীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার এস,এম,এন জামিউল হোসেন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ডা. তুষার কান্তি নাথ, সহকারী সার্জন ডা. মো. জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, সহকারী সার্জন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. এমরান হোসেন ভূঞা, ডেপুটি জেলার মো. আখেরুল ইসলাম, মোছাৎ সুমাইয়া আক্তার, মো. তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ