চট্টগ্রাম বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

চন্দনাইশে নাশকতার আগুনে ছাই গোডাউনসহ দোকান ও বসতঘর

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি

চন্দনাইশে নাশকতার আগুনে ছাই গোডাউনসহ দোকান ও বসতঘর

চন্দনাইশ সংবাদদাতা

১২ অক্টোবর, ২০২৫ | ৯:০২ অপরাহ্ণ

জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের চন্দনাইশের বরকল কানাইমাদারীতে নাশকতার আগুনে ছাই হল ২টি মুদির দোকান, ১টি গোডাউন ও ১ টি বসতঘর। এত প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

 

গতকাল শনিবার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বরকল কানাইমাদারী নিদাগর পাড়ায় এক দল মুখোশ পরিহিত নাশকতাকারী নাইট গার্ডদের বেঁধে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটায়।

 

দায়িত্বরত নাইটগার্ড মো. আবু মনজুর বলেছেন, রাত ২টার দিকে ১৫ জনের একদল মুখোশ পরিহিত নাশকতাকারী মোটর সাইকেলযোগে এসে প্রথমে নাইট গার্ড মনজুর ও মো. নাছিরকে পার্শ্ববর্তী একটি গাছের সাথে বেঁধে রাখে। এ সময় নাশকতাকারীরা গান পাউডার ছিটিয়ে মুদি দোকানসহ বিশাল গোডাউনে আগুন দেয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে মুদি দোকান, দোকানের পেছনে গোডাউন, তার সাথে একটি বসতঘর, পার্শ্ববর্তী আরেকটি ফার্নিচারের দোকানের অংশ বিশেষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

 

ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- মেসার্স মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আলমগীর ইসলাম (মুদি দোকান ও গোডাউন), ফার্নিচার দোকানের স্বত্বাধিকারী আবদুল করিম বাবুল, বসতঘর ও গোডাউনের মালিক মফজল আহমদ।

 

খবর পেয়ে চন্দনাইশ দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

 

চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওয়ার হাউজ ইনস্পেক্টর মো. কামরুল হাছান বলেছেন, রাতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনেন। তবে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে তদন্ত সাপেক্ষে বলতে পারবেন বলে জানান।

 

চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার বলেছেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এটি নাশকতা নাকি পূর্ব শত্রুতার জের, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

পূর্বকোণ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট