চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট পৌরবাজারে বিএনপি নেতাদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিরসরাই উপজেলা বিএনপি, মিরসরাই পৌরসভা ও বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই পৌরসদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়।
এর আগে রাতে জোরারগঞ্জ থানায় বাজি বিস্ফোরণ করে থানা প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ৷ পরবর্তীতে রাতে মাঈনুল ইসলাম রাহাত নামে আহত একজন ৩০ জন এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত আরো ৫০/৬০ জনকে আসামি করে জোরারগঞ্জ থানায় মামলা করেন। বিক্ষোভ সমাবেশে মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুল হাসান লিটনের সঞ্চালনায় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবদুল আউয়াল চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সালাহ উদ্দিন সেলিম, নুরুল আবছার চেয়ারম্যান, সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী, বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক মঈন উদ্দিন লিটন।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, রবিবার রাতে আমিসহ বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক মঈন উদ্দিন লিটন, বিএনপি নেতা গোলাম মাওলা, কাশেম মাহফুজের ওপর চট্টগ্রাম উত্তরজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন ও বারইয়ারহাট পৌরসভার বিএনপির আহবায়ক দিদারুল আলম মিয়াজীর অনুসারীরা ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় আমরা মামলা করলেও আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করলে মিরসরাইয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চুরি, ডাকাতি বন্ধ করতে প্রয়োজনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হবে।
মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল আউয়াল চৌধুরী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আগামী ১ সপ্তাহে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন, পৌরসভায় বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করা হবে। পরবর্তীতে পুরো উপজেলা নিয়ে আলাদা একটি সমাবেশ করা হবে। হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানাবো। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি আহবান জানাই।
চট্টগ্রাম উত্তরজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন বলেন, আর কোনো অন্যায় সহ্য করা হবে না৷ অনেক সহ্য করা হয়েছে৷ দলের ব্যানার ব্যবহার করে অপকর্ম করতে করতে তারা ক্ষান্ত হয়নি৷ নিজ দলের নেতাকর্মীদের ওপর ঈর্ষান্বিত হয়ে নোংরা হামলা চালাচ্ছে ৷ এখন থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে৷
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, বিএনপির দলীয় কোন্দল থেকে হামলার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। রাতে বিএনপি একপক্ষের নেতাকর্মীরা থানায় আসে। মাঈনুল ইসলাম রাহাত নামে একজন এজাহার নামীয় ৩০ জন এবং অজ্ঞাত ৫০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। আমরা মামলা নিয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পূর্বকোণ/সাদমান/আরআর/পারভেজ