চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫

ওসি প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড সাত কার্যদিবসের মধ্যে কার্যকরের দাবি
সংবাদ সম্মেলন

কক্সবাজারে সিনহা হত্যা

ওসি প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড সাত কার্যদিবসের মধ্যে কার্যকরের দাবি

কক্সবাজার সংবাদদাতা

২৬ এপ্রিল, ২০২৫ | ১০:৫৯ অপরাহ্ণ

বহুল আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড সাত কার্যদিবসের মধ্যেই কার্যকরের দাবি জানিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের সংগঠন এক্স-ফোর্সেস এসোসিয়েশন।

 

অন্যথায়, রায় কার্যকর করার দাবিতে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।

 

আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘শহীদ মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ওসি প্রদীপের মৃত্যুদণ্ড অনতিবিলম্বে কার্যকর করার দাবি’ শীর্ষক ব্যানারে এসব দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির নেতারা।

 

সংবাদ সম্মেলনে এক্স-ফোর্সেস এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) মো. মেহেদী হাসান বলেন, বর্তমানে এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে চলমান। তিনি স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতি স্পষ্ট বার্তা দেন, যাতে রায় কার্যকরের ক্ষেত্রে কোনো হুমকি, প্রলোভন বা রাজনৈতিক চাপ তাদের প্রভাবিত করতে না পারে। তিনি আরও বলেন, রায় ঘোষণার পরবর্তী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তা কার্যকর করতে হবে।

 

সংগঠনের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) মো. মেহেদী হাসান বলেন, দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজ বরদাশত করা হবে না।

 

সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক লিখিত বক্তব্যে আশা প্রকাশ করা হয়, চলমান শুনানি আগামী সপ্তাহেই শেষ হবে এবং উচ্চ আদালত প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখবেন। সংগঠনের সদস্যসচিব লেফটেন্যান্ট (অব.) সাইফুল্লাহ খাঁন সাইফ এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি আগামী এক মাসের মধ্যে শেষ করার অনুরোধ করে প্রদীপ, লিয়াকতসহ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রত্যেকের ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবি জানান।

 

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হলে তা কার্যকরের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত।

 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শাখাওয়াত হোসেন, মেজর (অব.) রাজিবুল হাসান, ক্যাপ্টেন (অব.) শুভ আফ্রিদি, কর্পোরাল (অব.) তফসীর আহমেদ, নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য সাইদ ও সাবেক সৈনিক মো. নাইমুল ইসলাম। তারা সকলেই দ্রুত রায় কার্যকর করার পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন।

 

 

পূর্বকোণ/এরফান/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট