চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে একটি বসতঘরে ৬৯টি গোখরা সাপের বাচ্চা পাওয়া গেছে। ফলে সাপ আতঙ্কে দিন কাটছে ওই পরিবারের সদস্যদের।
উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াহেদপুর এলাকা থেকে এসব সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, ওই এলাকার দেলোয়ার হোসেন ও আলী হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ওমানে থাকেন। প্রবাসের ১০ বছরের পরিশ্রমের টাকা দিয়ে নির্মাণ করেছেন একটি ‘স্বপ্ন কুটির’। সেই কুটিরে বসবাস করার আগেই বেধেছে সাপের বাসা। তাদের সেই স্বপ্নের কুটির থেকে একে একে ৬৯টি গোখরা সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে। সাপ আতঙ্কে দিন কাটছে পরিবারের সদস্যসহ বাড়ির অন্য পরিবারের লোকজনের মাঝে। শুধু তাই নয় এই আতঙ্ক জড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়।
অনেকগুলো সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হলেও এখনো উদ্ধার হয়নি সাপের মা।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, একটি গোখরা সাপ একসাথে সর্বোচ্চ ২০-২৫ তা বাচ্চা দেওয়ার সক্ষমতা থাকে। তাহলে এ দ্বারা বুঝা যাচ্ছে এখানে একটি সাপ নয় বেশ কয়েকটি সাপের মা রয়েছে। এছাড়াও প্রতিদিন ওই ঘরের পাশ থেকে দুই একটি করে সাপের ছানা উদ্ধার করা হচ্ছে।
ওই প্রবাসীর বড় ভাই আলাউদ্দিন বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম কোন বিষমুক্ত সাধারণ সাপ। কিন্তু পরে দেখছি এগুলো সব বিষাক্ত গোখরা সাপের বাচ্চা। রাত হলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পরিবারের ছোট ছোট বাচ্চাগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকি সবসময়। সাপগুলোকে মেরে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয় যুবক আতিকুর রহমান বলেন, আমাদের এলাকার একটি প্রবাসী ঘরে ৬৯টি গোখরা সাপের বাচ্চা পাওয়া গেছে। কিন্তু এখনো পাওয়া যায় নি সাপের মাকে। এ নিয়ে পরিবার ও এলাকার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রিমন ভূঁইয়া নামের আরেক স্থানীয় যুবক বলেন, সাপগুলো দেখার পরে স্থানীয়দের মাঝে হইচই পড়ে যায়। পরে গিয়ে দেখলাম একটি গর্ত থেকে ৬৯টি সাপ গোখরা সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এলাকার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মিরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিরুল ফরিদ বলেন, উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়ার কারণে সাপের বাচ্চাগুলো এখানে জন্ম নিয়েছে। কিন্তু এগুলো বিষধর সাপ ছোবল দিলেই ঘটতে পারে যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা। তাই সাপুড়ে ও বন কর্মকর্তাদের শরণাপন্ন হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া একটি গোখরা সাপের সর্বোচ্চ একসঙ্গে ২০ থেকে ২৫টি বাচ্চা দেওয়ার সক্ষমতা থাকে।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ