চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘মহেশখালী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ আইনের খসড়া অনুমোদন, উচ্ছ্বসিত দ্বীপের বাসিন্দারা

মহেশখালী সংবাদদাতা

১৮ এপ্রিল, ২০২৪ | ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দরে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ‘মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২৪’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বুধবার (১৭ এপ্রিল) তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

 

দেশের বৃহত্তর সমুদ্র বন্দর পরিচালনায় মহেশখালীতে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ করার বিষয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনের খবরে উচ্ছ্বসিত দ্বীপের বাসিন্দারা। অনেকে বলছেন তাঁদের অনেক দিনের দাবি পূরণ হতে হচ্ছে। এটি তাদের যেন ঈদের আনন্দ।

 

মহেশখালীর বাসিন্দাদের অনেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

 

এদিকে, সভা শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, মহেশখালী মাতারবাড়ি সমন্বিত উন্নয়ন কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথ ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণার আওতায় মাতাবাড়িতে উন্নয়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়।

 

তিনি জানান, মাতারবাড়িকে কেন্দ্র করে যাতে অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা যায়, সেখানে গভীর সমুদ্রবন্দর সুবিধা থেকে শুরু করে উন্নয়নের মৌলিক কিছু অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে কিছু অঞ্চল চিহ্নিত করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করা যায়, সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বেশকিছু কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। পুরো কাজ এখন আলাদা আলাদা মন্ত্রণালয় করছে।

 

তিনি আরও জানান, সমন্বিতভাবে এসব কাজ করতে মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বোর্ডের প্রধান হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রীকে নিয়ে ১৭ সদস্যের বোর্ড থাকবে।

 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কর্তৃপক্ষের মূল কাজ হবে নির্ধারিত এলাকায় ভূমি ব্যবহারের মাস্টারপ্ল্যান করে তা বাস্তবায়ন করা। যাদের ভূমি দেওয়া হবে, তারা যেন যথাযথভাবে কাজ করেন। মূল লক্ষ্য হবে বিদেশি বিনিয়োগ। এক্সপোর্ট ও ইমপোর্টের নিট টাইম যেন কম হয়।

 

তিনি বলেন, ৫৫ হাজার ৯৬৮ একর জমি নিয়ে প্রকল্প এলাকার যে মাস্টারপ্ল্যান হবে, সেখানে যেন পরিবেশ সংরক্ষণ করা হয়, লবণ চাষ, পান চাষও যেন সুরক্ষিত থাকে, তা নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ যাতে ঘটে, তাতে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দিতে এটি করা হচ্ছে। কিছু পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো নিষ্পত্তি করে পুনরায় আইনটি মন্ত্রিসভায় তোলা হবে। কক্সবাজারে কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় হবে। ঢাকায় লিয়াজো অফিস করা যাবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

 

 

পূর্বকোণ/হুবাইব/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট