চট্টগ্রাম শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪

গণধোলাই এবং দেয়াল টপকে পালানোর বিষয়ে যা বললেন হারুন

অনলাইন ডেস্ক

১০ অক্টোবর, ২০২৪ | ১২:৩৯ অপরাহ্ণ

ছাত্র-জনতার হাতে গণধোলাই এবং পুলিশ সদর দফতরের দেয়াল টপকে পালাতে গিয়ে ব্যথা পাওয়ার বিষয়গুলোকে গুজব বলে আখ্যায়িত করেছেন ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক প্রধান হারুন-অর-রশীদ।

 

সম্প্রতি অজ্ঞাত স্থান থেকে ‘নাগরিক টিভি’ নামের ইউটিউব চ্যানেলের প্রবাসী এক সাংবাদিকের সঙ্গে টেলিফোন সাক্ষাৎকারে তিনি এসব দাবি করেন। সেখানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান এবং আন্দোলন দমনে তার ভূমিকাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন এ পুলিশ কর্মকতা।

 

মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন বলেন, ‘ফেসবুক, ইউটিউবে নানা গুজব আছে। আপনারা মরার ছবিসহ নানা গুজব দেখেছেন। আমি এগুলো নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। যারা এগুলো বলে তারা গুজব বা টাকা-পয়সা পাওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাড়ে। এগুলো গুজব।’

 

পুলিশ সদর দফতরের দেয়াল টপকে পালাতে গিয়ে ব্যথা পাওয়ার বিষয়ে সাবেক ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি পুলিশ সদর দফতরে যাইনি।’

 

ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক কর্মকর্তা হারুন বলেন, ‘আমাকে নিয়ে মিডিয়াতে তো প্রতিদিন একেক রকম খবর আছে। কাল দেখলাম এক অনলাইনে আসছে, আমি আর আমার বউ নাকি আছি ভাটিরচর। একটায় দেখলাম আমি নাই। আবার এক জায়গায় দেখলাম, আমি আছি কারও হেফাজতে। আবার আরেকটায় বলেছে, আমি অন্য জায়গায় চলে গেছি। গতকাল আবার দেখলাম র‌্যাব বলেছে, আমি নাকি তাদের হেফাজতে আছি। একেকজন একেক ধরনের কথা বলছে। আমি আসলে কারও সঙ্গে কথা বলি না। আমি বলছি, আমি আছি, আমি সেইফ আছি।’

 

এ সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কোথায় আছেন? জবাবে হারুন বরেন, ‘আসলে আপনি জানেন যে, কোথাও যেতে গেলে তো লিগ্যালি এই সময় কোথাও যাওয়া সম্ভব নয়। লিগ্যালি আমার যাওয়া কি সম্ভব? আমি আসলে বলতে চাচ্ছি না।’

 

সরকারের লাঠিয়াল হিসেবে কাজ করে আপনি অনুতপ্ত কি না জানতে চাইলে ডিবির সাবেক এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি লাঠিয়াল হিসেবে কাজ করিনি। আমি সরকারি চাকরি করি। আমার সঙ্গে কোনো দিন শেখ হাসিনার দেখা হয়নি। ১৫ বছরের ক্ষমতাকালীন সময়ে কোনো দিন শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে যাইনি। আমার সঙ্গে কথা হয়নি। আমাকে বলা হচ্ছে হুকুমদাতা। আমি হুকুমদাতা কীভাবে হলাম। আমি তো ডিএমপি কমিশনারের অধীনে কাজ করেছি। আমি যা করেছি ন্যায়বোধ থেকে করেছি; অন্যায় করিনি। ন্যায়বোধ দিয়ে কাজ করায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়েছি। কিন্তু মানুষ আমার কাজের প্রশংসা করেছে। আমাকে ভুল বোঝার অবকাশ নেই।’

 

দেশবাসী কেন আপনাকে ঘৃণা করে? এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, ‘আমি ১২ বছর চাকরি করেছি। আমার কোনো অন্যায় থাকলে আপনি আমাকে ছাড়তেন? তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? এখন আমি একটু অড পজিশনে পড়ে গিয়েছি, এখন যদি বলে হারুন খুব খারাপ… তাহলে আমি কী খারাপটা করেছি বলেন। কার ক্ষতি করেছি? আমার কাছে যারা-যেসকল আসামি ছিল… এমনও বড় বড় বিএনপি নেতারা আমার কাছে গিয়েছিল.. তারা আমাকে বলতো আমার ফ্যামিলি প্রবলেম আছে, আমার ফ্যামিলি প্রবলেম সলভ করে দিও। এসব বিষয়ে আমি আরেকদিন কথা বলবো।’

 

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট