চট্টগ্রাম বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

অ্যাজমা সম্পর্কে জানা থাকলে নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে

অনলাইন ডেস্ক

২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ৯:২৫ অপরাহ্ণ

ব্রংকিয়াল হাঁপানি একটি দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের অবস্থা। বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ এতে ভুগছে। অ্যাজমা ক্ষুদ্র শ্বাসনালির সংকোচনের কারণে হয়। এর ফলে শ্বাসকষ্ট, কাশি এবং বুক শক্ত হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়।

হাঁপানি একটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য অবস্থা হলেও সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না হলে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই অ্যাজমা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে জানাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিরোধে করণীয়:
ট্রিগার শনাক্ত করুন: প্রতিরোধের জন্য অ্যাজমা ট্রিগারগুলো বোঝা জরুরি। ট্রিগারগুলো এড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। সাধারণ ট্রিগারগুলোর মধ্যে রয়েছে পরাগ, ধুলো মাইট, পোষা প্রাণীর খুশকি, ধোঁয়া, বায়ুদূষণ এবং শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতো অ্যালার্জেন। এই ট্রিগারগুলোর সংস্পর্শ এড়ালে হাঁপানির ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

অ্যালার্জেন নিয়ন্ত্রণ করুন: হাঁপানি প্রতিরোধের জন্য একটি পরিষ্কার এবং অ্যালার্জেনমুক্ত পরিবেশ রাখা জরুরি। প্রয়োজনে এয়ার পিউরিফায়ার, হাইপোঅ্যালার্জেনিক বেডিং ব্যবহার এবং নিয়মিত আপনার ঘর পরিষ্কার ও ভ্যাকুয়াম করতে পারেন।

টিকা নিন: ফ্লু ও রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাসের (RSV) মতো সংক্রমণ হাঁপানির উপসর্গকে বাড়িয়ে দিতে পারে। এই ভাইরাসগুলোর বিরুদ্ধে লড়তে টিকা নেওয়া যেতে পারে।

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন: স্থুলতা হাঁপানির লক্ষণগুলোকে আরো তীব্র করতে পারে, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। নিয়মিত ব্যায়াম করে এবং সুষম খাবার গ্রহণ করে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

নিয়মমাফিক ওষুধ গ্রহণ করুন: হাঁপানির জন্য নির্ধারিত ওষুধ থাকলে, আপনার চিকিৎসকের নির্দেশ অনুসারে এটি গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ বোধ করলেও ওষুধ বন্ধ করা যাবে না। দীর্ঘমেয়াদি নিয়ন্ত্রক ওষুধগুলো হাঁপানির লক্ষণগুলো প্রতিরোধ করতে এবং আক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।

ধূমপান এড়িয়ে চলুন: প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধূমপানের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। হাঁপানির উপসর্গগুলো প্রতিরোধের এবং ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ধূমপান ছেড়ে দেওয়া।

স্ট্রেস কমান: মানসিক চাপ হাঁপানির উপসর্গকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। ধ্যান, যোগব্যায়াম বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করে মানসিক চাপ কমানো যেতে পারে।

নিয়মিত চেকআপ করান: চিকিৎসকের কাছে গিয়ে নিয়মিত চেকআপ করান। চিকিৎসক আপনাকে যেকোনো ট্রিগার ও উপসর্গ শনাক্ত করতে এবং নিয়ম মেনে চলতে সাহায্য করতে পারেন। অ্যাজমা অ্যাটাকের সময় কী করতে হবে এবং আপনার লক্ষণগুলোর ওপর ভিত্তি করে কিভাবে ওষুধ সামঞ্জস্য করতে হবে তার রূপরেখা তৈরি করে দেবেন চিকিৎসক। ব্রংকিয়াল হাঁপানি প্রতিরোধের শর্তগুলো জানতে হবে। সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করা না গেলেও নিয়ম মেনে চললে এর প্রকোপ কমানো যায়।

পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. মুহিত মুকতাদির, অ্যাসিস্ট্যান্ট কো-অর্ডিনেটর, এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং ডিপার্টমেন্ট, দীপ আই কেয়ার ফাউন্ডেশন, রংপুর।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট