চট্টগ্রাম রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

সর্বশেষ:

পটিয়ায় প্রধান শিক্ষককে পদত্যাগের আল্টিমেটাম ছাত্রদল নেতার
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল নেতা তারেকুর রহমান তারেক

এডহক কমিটিতে বিএনপি নেতার নাম না থাকায় এসব করছে: অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক

পটিয়ায় প্রধান শিক্ষককে পদত্যাগের আল্টিমেটাম ছাত্রদল নেতার

পটিয়া সংবাদদাতা

১৩ জুন, ২০২৫ | ৯:০৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি দে’কে ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে সাতদিনের মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছেন এক ছাত্রদল নেতা।

 

বুধবার (১১ জুন) বিকেলে উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে এক প্রতিবাদ সভা থেকে এ হুঁশিয়ারি দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল নেতা তারেকুর রহমান তারেক। ওই প্রধান শিক্ষক যদি পদত্যাগ না করেন তাহলে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার হুমকিও দেন তিনি।

 

হাইদগাঁও ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনতার ব্যানারে আয়োজিত ওই প্রতিবাদ সভায় ছাত্রদল নেতা তারেকুর রহমান বলেন, হাইদগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে অযোগ্য ব্যক্তিকে সভাপতি নির্বাচিত করে, শিক্ষকদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে শিক্ষার পরিবশে বিনষ্ট করা হয়েছে।

 

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ নাগরিকরা প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে অতীতেও মুক্তিযোদ্ধারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন, স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যানরাও প্রতিবাদ সভা করেছে কিন্তু এর কোন রেজাল্ট পাইনি। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বার বার তদন্ত হওয়ার পরও তদন্ত প্রতিবেদনে নাকি ওনার বিরুদ্ধে কিছু পাওয়া যায় নাই।

 

তিনি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি দে আমাদের অনেকের শিক্ষক, আমাদেরকে তিনি লেখাপড়া করিয়েছেন। কিন্তু এখন যখন হাইদগাঁও এর মানুষ আপনাকে চান না, আপনি স্ব-সম্মানে পদত্যাগ করুন। শুধু শ্যামল মাস্টার নয় যারা শিক্ষকের আসনে বসে বিদ্যালয়কে ধ্বংস করেছে তাদের সকলের পদত্যাগ দাবি করছি। না হলে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করব।

 

ছাত্রদল নেতা তারেকুর প্রধান শিক্ষককে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এ বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান না হলে সামনে এর কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।

 

প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি দে বলেন, যে বা যারা প্রতিবাদ সভা করেছে তাদের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অনভিপ্রেত। মূলত সারাদেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে এডহক কমিটি গঠন করার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরে তিনজন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নাম প্রেরণ করলে তৎমধ্যে বিএনপি সমর্থক মোজাম্মেল হক লিটনের নাম না থাকায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে এসব করছেন। এরা অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক মব তৈরি করে আমার উপর হামলা করতে এবং পদত্যাগে বাধ্য করাতে চান। আমি বিষয়টি বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। তিনি যেভাবে নির্দেশনা দেবেন সে অনুযায়ী আমরা আমাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 

এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানুর রহমান বলেন, শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা শিক্ষা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে। এখানে মব ভায়োলেন্সের কোন সুযোগ নেই। প্রশাসন-সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে রয়েছে। অন্যায়ভাবে কেউ মব সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

পূর্বকোণ/পিআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট