চট্টগ্রাম সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

সর্বশেষ:

চট্টগ্রামে চার লাখ ১৫ হাজার চামড়া সংগ্রহ
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামে চার লাখ ১৫ হাজার চামড়া সংগ্রহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ জুন, ২০২৫ | ৭:১৫ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে এবার ঈদুল আজহায় চার লাখ ১৫ হাজার ৩৫১ পিস পশুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ (১০ জুন) সন্ধ্যায় আড়তদার সমিতি এই তথ্য জানিয়েছে।

 

তবে ন্যায্যদাম না পেয়ে হাজার হাজার চামড়া রাস্তায় ফেলে দিয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এতে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হয়েছে তাদের। সিটি কর্পোরেশন রাস্তা থেকে সংগ্রহ করে তা ডাম্পিং স্টেশনে ফেলে দিয়েছে।

 

বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মুসলিম উদ্দিন পূর্বকোণকে বলেন, প্রচণ্ড গরম ও দীর্ঘক্ষণ সময়ক্ষেপণের পর চামড়া আতুরা ডিপো আড়তে আনার কারণে কিছু চামড়ার গুণগতমান নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া সরকারের বেঁধে দর নিযে বুঝতে পারেনি মৌসুমি ব্যবসাীরা। সরকার লবণযুক্ত চামড়ার দর বেঁধে দিয়েছে। একটা চামড়ায় শ্রমিক, লবণ ও অন্যান্য খরচ মিলে ৪০০-৪৫০ টাকা খরচ পড়ে। মৌসুমি ব্যবসায়ী তা না বুঝে ৪০০-৬০০ টাকা দরে কাঁচা চামড়া কিনেছেন।

 

আড়তদার সমিতি জানিয়েছে, চট্টগ্রামে চার লাখ ১৫ হাজার ৩৫০ পিস পশুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে গরুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে তিন লাখ ১৫ হাজার ৩৫১ পিস। মহিষের চামড়া ১০ হাজার ৫০০ পিস। ছাগলের চামড়া ৫২ হাজার ৫০০ পিস।

 

২০২০ সালেও চট্টগ্রামে বিপুল সংখ্যক চামড়া নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। চামড়া বিক্রি করতে না পেরে হাজার হাজার চামড়া রাস্তায় ফেলে দিয়েছিল মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। সিটি করপোরেশন রাস্তা থেকে অন্তত এক লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ করে ডাম্পিং স্টেশন পুঁতেছিল।

 

চলতি মৌসুমেও হাজার হাজার চামড়া বিক্রি করতে না পেরে রাস্তায় ফেলে দিয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। প্রান্তিক ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এবারও বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন।

 

আড়তদারদের দাবি, তীব্র গরম ও দেরিতে আড়তে আনার কারণে চামড়ার গুণগত মান নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়াও সরকার বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় লবণ সরবরাহ করার পরও চামড়া নিজস্ব উপায়ে সংরক্ষণ না করে বিক্রির জন্য আড়তে এনেছে। বিপুল সংখ্যক চামড়া আড়তে চলে আসায় সব চামড়া কেনার সামর্থ্য আড়তদারদের ছিল না।

 

আড়তদার সমিতির সাবেক সভাপতি মুসলিম উদ্দিন বলেন, আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে ধারদেনা করে আমরা চামড়া সংগ্রহ করি। ব্যাংক আমাদের কোন লোন দেয় না। টাকার অভাবে আমরা ভালোভাবে চামড়া কিনতে পারি না। সরকার আমাদের লোনের ব্যবস্থা করে দিলে চামড়া ব্যবসায়ীরা কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট