চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগে যুক্ত হচ্ছে আরও তিনটি নতুন ডায়ালাইসিস মেশিন। এর ফলে রোগীদের জন্য ডায়ালাইসিস সেবার পরিধি বাড়বে এবং অপেক্ষমাণ রোগীদের ভোগান্তি কমবে।
জানা গেছে, শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (র:) ট্রাস্টের অর্থায়নে শয্যাসহ ৩টি ডায়ালাইসিস মেশিন, ডায়ালাইজার, ব্লাড লাইন এবং ডায়ালাইসিস এক্সেসরিজ প্রদান করা হয়েছে। যার আনুমানিক ব্যয় প্রায় ৫৫ লাখ টাকা। যা ইতোমধ্যে হাসপাতালের তৃতীয় তলার ১৭ নম্বর নেফ্রোলজি বিভাগের স্থাপন করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এসব মেশিন উদ্বোধন করা হবে।
বর্তমানে চমেক হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগে ১৯টি ডায়ালাইসিস মেশিন রয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি সচল। বাকি চারটি মেশিনের ত্রুটি মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। নতুন এই তিনটি মেশিন যুক্ত হওয়ার ফলে ওয়ার্ডটিতে মোট ডায়ালাইসিস মেশিনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২টিতে। মেশিন স্বল্পতার কারণে অনেক রোগীকে অপেক্ষায় থাকতে হয়। কেউ কেউ আবার বেসরকারি ডায়ালাইসিস সেন্টারে যেতে বাধ্য হন, যেখানে প্রতিটি সেশনের জন্য কয়েক হাজার টাকা খরচ হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন জানান, রোগীদের চাপ অনেক বেশি। নতুন মেশিন যুক্ত হওয়ায় অপেক্ষমাণ রোগীদের সেবা দিতে আরও সক্ষম হবো। জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (র:) ট্রাস্টের এ ধরনের মহতী উদ্যোগের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।
হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (র:) ট্রাস্টের সচিব বলেন, মানুষের সেবাই আমাদের লক্ষ্য। কিডনি রোগীরা অনেক কষ্টে দিন পার করেন। অনেকে অর্থাভাবে ডায়ালাইসিস করাতে পারেন না। তাই এ উদ্যোগ নিয়েছি। সামর্থ্যবান সবাই এগিয়ে এলে আরও অনেকের উপকার হবে। এমন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার চেষ্টা থাকবে।
পূর্বকোণ/ইবনুর