চট্টগ্রাম বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫

সর্বশেষ:

বছরের ব্যবধানে রেলের আয় বেড়েছে ৮ শতাংশ
ছবি: সংগৃহীত

বছরের ব্যবধানে রেলের আয় বেড়েছে ৮ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ মে, ২০২৫ | ১১:০২ পূর্বাহ্ণ

নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আয় বেড়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ হাজার ৯২৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা আয় করেছে রাষ্ট্রীয় এই সংস্থা। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৪২ কোটি ২ লাখ টাকা বা ৮ শতাংশ বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত রেলওয়ের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

 

রেলওয়ের প্রতিবেদনে দেখা গেছে- ২০১৯-২০ অর্থবছরে রেলের আয় হয়েছে ২ হাজার ১৯৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। তবে করোনার ধাক্কায় ২০২০-২১ অর্থবছরে আয় কমে যায়। আয় দাঁড়ায় ১ হাজার ১৬৬ কোটি ৭ লাখ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে আয় কিছুটা বাড়ে। ওই সময় আয় হয় ১ হাজার ৪৬৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

 

২০২২-২৩ অর্থবছরে ২ হাজার ৩৬৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আয় হয় ১ হাজার ৭৮৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৪৭০ কোটি ২ লাখ টাকা। এর বিপরীতে রেলওয়ের আয় হয়েছে ১ হাজার ৯২৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

 

সংশ্লিষ্টরা জানান- রেলওয়ে মূলত আটটি খাত থেকে আয় করে। সবচেয়ে বেশি আয় করে যাত্রী পরিবহনে। এরপর পণ্য পরিবহনে। অন্য খাতগুলো হলো- পার্সেল পরিবহন, বাণিজ্যিক, ভূ-সম্পত্তি, স্ক্র্যাপ, বিদ্যুৎ ও টেলিকম। যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে বিগত চার অর্থবছরেই আয় পর্যায়ক্রমে বেড়েছে।

 

তবে আয় আরও বাড়াতে তিন মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনায় রয়েছে- ভাড়া পুনর্নির্ধারণ, ২৬টি ইঞ্জিন ও ক্রু সরবরাহ, আন্তঃনগর কোটা সমন্বয়, নতুন ট্রেন ও কোচ সংযোজন, অপটিক্যাল ফাইবার ও লাগেজ ভ্যান বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার, টিকিট চেকিং জোরদার এবং অবৈধ জমি উদ্ধার করে ইজারা দেওয়া।

 

মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনায় রয়েছে, সরকারি পণ্য পরিবহন, লাগেজ ভ্যান ব্যবহারে নীতিমালা অনুসরণ, স্টেশন ও ট্রেনে বিজ্ঞাপন প্রচার, ট্রাফিক কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা ফেরত এবং আনলোডিং সুবিধাসম্পন্ন ইয়ার্ড নির্মাণ। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় রয়েছে- অব্যবহৃত রেলভূমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করে মার্কেট, হোটেল, অফিস ইত্যাদি ভাড়া দিয়ে আয় বাড়ানো।

 

এছাড়া ৫০টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) সংগ্রহ এবং মেরামত শপগুলোর যন্ত্রপাতি ও লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়িয়ে কর্মদক্ষতা উন্নয়ন করতে চায় রেলওয়ে। ধীরাশ্রম আইসিডির নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্ন করা এবং মোংলা-পদ্মা সেতু রুটে নিমতলীতে নতুন আইসিডি নির্মাণ। স্টেশনগুলোর সিএসএল ৭৫০ মিটারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

 

রেল সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম জানান, বিগত সময়গুলোতে ব্যয় ছিল বেশি, নানা কারণে আয় ছিল কম। বিভিন্ন প্রকল্প থেকে শুরু করে নানা জায়গায় অস্বাভাবিক ব্যয় ছিল। তবে আমরা আয় বাড়ানোর জন্য নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি। কাজও হচ্ছে। আশা করছি, বছর শেষে ভালো কিছুই হবে।

 

পূর্বকোণ/ইবনুর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট