চড়া বাজারের মধ্যেই বন্দরনগরে গেল এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে আরও ৫ সবজির। বিপরীতে দাম কমেছে তিনটির। তবে অপরিবর্তিত আছে মাছ-মাংসের বাজার। আসন্ন কোরবানির ঈদ ঘিরে চাহিদা বাড়লেও স্বস্তি মিলছে মসলাজাত পণ্যের বাজারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর অক্সিজেন, কাজীর দেউড়ি, চকবাজার, খাতুনগঞ্জ, কর্ণফুলী কমপ্লেক্স, আতুরার ডিপোসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বাজারদরের এমন চিত্রই দেখা গেছে। বন্দরনগরে গেল এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ঝিঙে, কাঁকরোল, মিষ্টি কুমড়া, শসা, ঢেঁড়স ও লতির। এরমধ্যে ৩০ টাকা বেড়ে ঝিঙে ১২০, মিষ্টি কুমড়া ও শসা ৯০, ১০ টাকা বেড়ে কাঁকরোল ১৪০ ও লতি ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিপরীতে দাম কমেছে করলা, পটল ও কাঁচা মরিচের। কেজিতে ১০ টাকা কমে করলা ৮০ ও পটল ৭০ এবং কেজিতে ২০ টাকা কমে কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজির মধ্যে টমেটো ৪০, লাউ ৬০, আলু ২০-২৫, চিচিঙ্গা ৭০ ও শিম ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ-মাংসের দাম। নগরে ব্রয়লার মুরগি ১৮০, সোনালি ৩২০ এবং দেশি মুরগি ৬২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। মাছের মধ্যে পাবদা ৩৮০-৪০০, ছুরি মাছ ৪০০-৫০০, স্যামন ৭০০, পোয়া ৪৫০, রূপচাঁদা ৮০০-১০০০, লইট্টা ২২০, রুই ৩৫০-৩৮০, কাতল ৪০০, মৃগেল ২৬০, নারকেলি ২৮০, বেলে ২৬০ এবং টুনাফিশ ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে, আসন্ন কোরবানির ঈদ ঘিরে চাহিদা বেড়েছে মসলাজাত পণ্যের। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এবার কোরবানির ঈদে স্থিতিশীল থাকবে মসলার বাজার। খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে জিরা ৬১৫-৬৪০, মিষ্টি জিরা ১৮০, এলাচ ৪ হাজার ৩৩০, দারুচিনি ৪০০, লবঙ্গ ১ হাজার ২৫০, গোল মরিচ ১ হাজার ১০০, লাল মরিচ ২৬০, গোটা হলুদ ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পূর্বকোণ/ইবনুর