গত ২০ দিনে চট্টগ্রাম নগরে ২ হাজার ৬৮৮টি ব্যাটারি রিকশা আটক করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। সোমবার ( ২১ এপ্রিল) চার ট্রাফিক বিভাগ থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ১ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ট্রাফিক উত্তর বিভাগে ৮৮৯টি, দক্ষিণ বিভাগে ৭৩৩টি, পশ্চিম বিভাগে ৯১৬টি এবং বন্দর বিভাগে ১৫০টির মতো ব্যাটারি রিকশা আটক করা হয়।
ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগে ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর (প্রশাসন) সুশোভন চাকমা পূর্বকোণ অনলাইনকে বলেন, সিএমপির কমিশনার হাসিব আজিজ স্যার নির্দেশ দিয়েছেন আটকের পর ২১দিন ডাম্পিং এ রাখতে যাতে জরিমানা দিয়ে পরদিন আবার আটক ব্যাটারি রিকশাটি নিয়ে রাস্তায় না নামতে পারে।
ট্রাফিক উত্তর বিভাগের ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর (প্রশাসন) কামরুল ইসলাম পূর্বকোণ অনলাইনকে বলেন, কমিশনার স্যার নির্দেশ অনুযায়ী আটক ব্যাটারি রিকশা ডাম্পিং এ পাঠানো হচ্ছে। যদিও ২১ দিনের আগে ছেড়ে দিতে এখন কিছু নামধারী সাংবাদিকও লবিং করেন। যাতে আমরা বিব্রত হই।
সরেজমিনে নগর ঘুরে দেখা গেছে বিগত কয়েক মাসে আাইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়ার সুযোগে অলিগলি ছেড়ে ব্যাটারি রিকশা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে। এমনকি কর্ণফুলীর শাহ আমানত সেতু দিয়ে যাত্রী পারাপার করেছে ব্যাটারি রিকশা। এসময় ব্রিজ পারাপারে তারা কোন প্রকার টোলও দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক টোল আদায়কারী।
সিটি করপোরেশন বা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কোনো অনুমোদন না থাকলেও ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ ও প্যাডেল রিকশামালিক পরিষদের হিসাব অনুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরীতে ৫০-৬০ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা রয়েছে। প্যাডেলচালিত বৈধ রিকশা রয়েছে ৭০ হাজার। অবৈধ রয়েছে আরও ৫০-৬০ হাজার।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, নগরীর চান্দগাঁও, বাকলিয়া, বায়েজিদ, চকবাজার, কর্ণফুলী, খুলশী, কোতোয়ালী, পাহাড়তলী, হালিশহর, আকবরশাহ থানা, ডবলমুরিং, ইপিজেড এলাকায় সবচেয়ে বেশি চলে ব্যাটারি চালিত রিকশা।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ