ছিদ্দিক ট্রেডার্সের মালিক আবু সাঈদ চৌধুরী সম্রাট ও তার স্ত্রী সালমা সাঈদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত।
গতকাল অর্থঋণ আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন এই আদেশ দেন। হাইকোর্টের বেঁধে দেয়া চার মাসের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে খেলাপী ঋণের ১৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়- নিজেদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সোনালী ব্যাংকের লালদিঘি শাখা থেকে ৬৯ কোটি টাকার ঋণ নেন ছিদ্দিক ট্রেডার্সের মালিক আবু সাঈদ চৌধুরী সম্রাট ও তার স্ত্রী সালমা সাঈদ চৌধুরী। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বারবার তাগাদা দেয়ার পরেও তারা ঋণ পরিশোধ করেননি। এমন পরিস্থিতিতে পাওনা টাকা আদায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করা হয়। তবে মামলার পরেও তারা ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন।
এরমধ্যে সুদসহ সোনালী ব্যাংকের পাওনা দাঁড়ায় ১৭৯ কোটি ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার ৩০৫ টাকা। এই টাকা আদায়ে অর্থঋণ আদালতে অর্থজারি মামলা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আদালত বন্ধকী সম্পত্তি নিলামের আদেশ দিলে এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন আবু সাঈদ চৌধুরী সম্রাট দম্পতি। গত ২৬ নভেম্বর হাইকোর্ট নিলাম কার্যক্রম স্থগিত করে বিবাদীকে চার মাসের মধ্যে ১৫ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেন।
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ১৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় মেসার্স ছিদ্দিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আবু সাঈদ চৌধুরী সম্রাট ও তার স্ত্রী বেগম সালমা সাঈদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন অর্থঋণ আদালত।
পূর্বকোণ/ইব