চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

সর্বশেষ:

হয়রানি বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের হুঁশিয়ারি নেতাদের
সভায় উপস্থিত নেতাদের একাংশ

ভুয়া নেতৃত্ব তৈরি করে পরিবহন সংগঠন দখল চেষ্টার অভিযোগ

হয়রানি বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের হুঁশিয়ারি নেতাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ এপ্রিল, ২০২৫ | ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ

বৃহত্তর চট্টগ্রামে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ওপর দখল, চাঁদাবাজি, প্রশাসনিক হয়রানি এবং সড়কে অবৈধ গাড়ির দৌরাত্ম্য বন্ধ না হলে যে কোনো সময় গণপরিবহন বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিবহন নেতারা।

বুধবার সকালে আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির কার্যালয়ের বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।

পরিষদের আহ্বায়ক মোরশেদুল আলম কাদরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি অধ্যাপক কফিল উদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, মো. শওকত আলী, খোরশেদ আলম, মো. মুসা, আহসানউল্লাহ চৌধুরী, অলি আহমেদ, সৈয়দ হোসেন, মনসুর আনোয়ার ও মো শাহজাহান, মোহাম্মদ আজম চৌধুরী, আবুল বাশার, আলাউদ্দিন প্রমুখ।

সভায় নেতারা বলেন, ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনে বহু সাংঘর্ষিক ধারা রয়েছে, যা গণপরিবহনব্যবস্থার জন্য প্রতিবন্ধক। এর ফলে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ঢাকায় নমনীয়ভাবে প্রয়োগ হলেও চট্টগ্রামে একই আইনের জরিমানা ও শাস্তি ব্যাপক হারে কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে।

নেতারা আরও বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর, জেলা ও হাইওয়ে সড়কে অবৈধ গাড়ি বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে। অথচ প্রশাসন এসব গাড়ির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এরই মাঝে পরিবহন খাতে অপ্রাসঙ্গিক ব্যক্তিরা ‘ভুয়া নেতৃত্ব’ প্রতিষ্ঠা করে সংগঠন দখলের পাঁয়তারা করছে, প্রশাসনিক সহযোগিতা নিয়ে দখল ও চাঁদাবাজিতে জড়াচ্ছে। এতে প্রকৃত পরিবহন সংগঠনগুলোর কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।

নেতারা বলেন, এসব বিষয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বরং পরিবহন নেতাদের নামে বেনামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

বক্তারা আরও জানান, বর্তমান সরকার জনগণের মতামতের মতামতের ভিত্তিতে সংস্কারমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে সড়ক পরিবহন আইনের প্রয়োগে বৈষম্য এবং প্রশাসনের উদাসীনতায় পরিবহন খাতের স্থিতিশীলতা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে।

এসময় চলমান সংকট নিরসনে শিগগিরই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নেতারা। দাবি আদায় না হলে পরিবহন বন্ধসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার কথা বলেন তারা।

 

পূর্বকোণ/জেইউ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট