চট্টগ্রামের যাইতুন একাডেমি ফিলিস্তিনের নির্যাতিত গাজাবাসীর জন্য মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে। সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে যাইতুন একাডেমির স্কুল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।
দুপুর সাড়ে ১২টায় যাইতুন একাডেমি ক্যাম্পাস থেকে গাজাবাসীর পক্ষে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা পশ্চিম খুলশীতে বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিক্ষোভ মিছিলটি চট্টগ্রাম ভেটেরেনারি সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গেলে সেখানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ মিছিলে যুক্ত হয়। ইউএসটিসি থেকে আরো একটি মিছিল উক্ত এলাকায় গেলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর জনতার ঢল নামে।
ভেটেরেনারি সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি এবং যাইতুন একাডেমির শিক্ষক শিক্ষিকারা ফিলিস্তিনের মজলুম জনতার পক্ষে বক্তব্য রাখেন। তারা ইসরাইলের মানবতাবিরোধী বর্বর আক্রমণের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
তারা বলেন, ইসরাইল মানবতার শত্রু। তারা দুনিয়ার সকল ধরনের আইন লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের ছোট্ট ছোট্ট শিশু ও মহিলাদের নির্বিচারে হত্যা করছে। জোর করে গাজাবাসীকে তাদের ভিটা থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। পানি, বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। হাসপাতাল পর্যন্ত ইসরাইলের বোমার আঘাতে ধ্বংস হয়ে গেছে। এম্বুলেন্সে হামলা করে ডাক্তারদের হত্যা করছে। সাংবাদিকদেরও নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে যাতে সঠিক খবর দুনিয়াবাসী না জানে। বক্তারা সারা দুনিয়াবাসীকে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।
যাইতুন একাডেমির তাহফিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরাও আছর নামাজ শেষে জালালাবাদ কেন্দ্রীয় মসজিদের মুসল্লিদের সাথে নিয়ে বিক্ষাভ মিছিল করেন। এই মিছিলে নেতৃত্ব দেন যাইতুন একাডেমির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আমিনুল হক।
মিছিল শেষে তিনি সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও গাজাবাসীকে পরাজিত হতে দিব না। ফিলিস্তিন আমাদের সকলের। আমাদের কর্তব্য হচ্ছে, ইসরাইলকে বয়কট করা। ইসরাইলের পণ্য বয়কট করা। ফিলিস্তিনী ভাইবোনদের জন্য দোয়া অব্যাহত রাখা এবং ইসলাইলের বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়া। ফিলিস্তিন স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত তাদের পাশে থাকতে হবে।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ