চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট সাগর উপকূলে গড়ে তোলা কোহিনুর স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের অবশিষ্ট স্থাপনা উচ্ছেদে দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার দিনভর এই অভিযানকালে ইয়ার্ডটিতে থাকা ভবনগুলোর অবশিষ্ট অংশ গুড়িয়ে সেখানে এক হাজার গাছের চারা রোপন করা হয়। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলাম।
তিনি জানান, সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীর তুলাতলী মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানে বনায়ন ধ্বংস করে কোহিনুর স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় তুলাতলী মৌজার বিএস ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত ৪৯৪ নম্বর দাগের আওতাধীন সরকারি ১১৩.৬৩ একর খাস জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে গত ২৫ জুন প্রথম দফায় অভিযান পরিচালনা কালে দুটি বুলডোজার ও স্কেবেটর দিয়ে সেখানকার ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়। তবে সেদিন সম্পূর্ণ ভবন উচ্ছেদ সম্পন্ন হয়নি। ফলে অবশিষ্ট অংশ উচ্ছেদে বুধবার সকাল থেকে আবারো অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানে একটি ২ তলা বিল্ডিং, ১ তলা একটি বিল্ডিং, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, বৈদ্যুতিক খুটি এবং কাটা তারের বেড়া এবং গেট অপসারণ করা হয় এবং সেখানে বন বিভাগের সহযোগিতায় এক হাজার নানান জাতের গাছ রোপন করা হয়।
অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আব্দুল্লা আল মামুন এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান। এছাড়া অভিযানে সহায়তা করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, এবং বন বিভাগ। শেষে উদ্ধারকৃত জমি সরকারের দখলে এনে পুনরায় দখল রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ইউএনও মো. ফখরুল ইসলাম আরও জানান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সকল অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পূর্বকোণ/সৌমিত্র/জেইউ/পারভেজ