কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাট এলাকায় চলাচলরত ফেরির সাথে বালুবাহী বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়েছে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে ফেরি ও বাল্কহেডটি।
সোমবার (২৩ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নদীর মাঝখানে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নদীর পূর্ব প্রান্তের ফেরিঘাট থেকে ২টি কাভার্ড ভ্যান ও একটি মালামাল বোঝাই ট্রাক নিয়ে নদী পার হওয়ার সময় মাঝ পথে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সাথে ধাক্কা লাগে। বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি টালমাটাল অবস্থায় ঘুরে যায়। বাল্কহেড বালু নিয়ে নদী দিয়ে আড়াআড়িভাবে যাচ্ছিল। এসময় বাল্কহেডে থাকা তিন শ্রমিক আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে ফেরির ধাক্কা সামাল দেয়। বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এই সংঘর্ষের মোবাইল ধারণকৃত ৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে ফেরি পরিচালনা কর্তৃপক্ষের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
এরআগে ২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট ফেরি সাথে বাল্কহেডের সাথে ধাক্কা লেগে নদীতে চলাচলরত ফেরির কমপক্ষে ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিলো বলে জানিয়েছিল সড়ক ও জনপদ বিভাগ। ওই ঘটনায় সওজ কর্তৃপক্ষ নগরীর চান্দগাঁও এবং বোয়ালখালী থানায় দুইটি মামলা করে। পুলিশ এ মামলায় রাহাত হোসেন এবং আহাদ হোসেন নামের ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল।
বেপরোয়া গতিতে চলাচলরত অবৈধ এসব বাল্কহেডের সঙ্গে ফেরির সংঘর্ষে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন ফেরির চালকসহ স্থানীয় লোকজন।
জানা গেছে, কালুরঘাট সেতুর উত্তর–পূর্ব পাশের বোয়ালখালীর কধুরখীল অংশ থেকে শুরু করে এদিকে শাহ আমানত সেতু এবং অপরদিকে কালারপোল হয়ে ভেল্লাপাড়ার পরের অংশ পর্যন্ত অসংখ্য স্থান থেকে প্রশাসনের কাছ থেকে বালু উত্তোলনের অনুমোদন নিয়ে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালীরা। এসব বালু পরিবহন করা হচ্ছে অবৈধ বাল্কহেড দিয়ে। এগুলোর চলাচলের কোনো অনুমোদন নেই। এরকম ২ শতাধিকেরও বেশি বাল্কহেড কর্ণফুলী হয়ে কালুরঘাট সেতুর উভয় পাশে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করছে। কালুরঘাট ফেরির সঙ্গে বেশ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে যে কোনো সময় আরো বড় ধরনের দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
পূর্বকোণ/পূজন/আরআর