বৈরী আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন দ্বীপ নৌরুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। দ্বীপবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বলে জানা গেছে। টানা তিন দিন ধরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রলার চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। দ্বীপে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয়েছে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি। নিরাপত্তার স্বার্থে মাছ ধরার ট্রলারগুলোও ফিরিয়ে আনা হয়েছে টেকনাফে।
সেন্টমার্টিনদ্বীপের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ জানান, দ্বীপের মানুষ আগে থেকেই সংকটে ছিল। এখন নৌযান বন্ধ থাকায় বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ফুরিয়ে এসেছে। খাদ্যপণ্য না পৌঁছালে মানুষকে না খেয়ে থাকতে হবে। বুধবার সকাল থেকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে নদীর পানি বেড়ে বেড়িবাঁধে আঘাত করছে। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক পরিবার ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের সার্ভিস বোট এসোসিয়েশনের সভাপতি রশিদ আহমদ জানান, দুর্ঘটনার আশঙ্কায় গত তিন দিন নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে মালামাল আনা-নেওয়া পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। দ্বীপবাসী কর্মহীন অবস্থায় আরও দুর্বিষহ সময় পার করছে। পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে টেকনাফ সীমান্তের শাহপরীরদ্বীপের জালিয়াপাড়া এলাকায় নাফ নদীর তীরে জোয়ারের ঢেউয়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে আগে থেকেই সেন্টমার্টিনে আড়াই হাজার মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার নৌযান চালু হবে। শাহপরীর দ্বীপের ভাঙনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
পূর্বকোণ/কাশেম/জেইউ/পারভেজ