চট্টগ্রাম রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

সর্বশেষ:

সীতাকুণ্ডে জোড়াতালির সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ১৩শ শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসী
সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডে চিটাগাং কেমিক্যাল কমপ্লেক্সের ভেতরের ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করছে শিক্ষার্থীরা

সীতাকুণ্ডে জোড়াতালির সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ১৩শ শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসী

নিজস্ব সংবাদদাতা, সীতাকুণ্ড

২৫ মে, ২০২৫ | ২:২১ অপরাহ্ণ

যেকোন সময় ভেঙে পড়তে পারে জরাজীর্ণ সেতুটি। এতে বড় দুর্ঘটনার আশংকা জেনেও বিকল্প পথ না থাকায় মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এ সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করছে ১৩শ কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য গ্রামবাসী। তারা এটি সংস্কারের জন্য বারবার দাবি জানালেও এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই কারো। ফলে হতাশ এলাকাবাসী ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

 

আতঙ্কের এ সেতুটির অবস্থান সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের চিটাগাং কেমিক্যাল কমপ্লেক্সের (সিসিসি) ভেতরে। ২০০৪ সালে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত (সিসিসি) বন্ধ হয়ে যাবার পর বিগত ২০ বছরেও এর ভেতরে থাকা খালের উপরের সেতুটি আর সংস্কার না হওয়ায় সেতুটির কাঠ, লোহার পাত সব জরাজীর্ণ হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

সরেজমিনে এই সেতু এলাকায় গিয়ে গত বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায় ভয়ে ভয়ে সেতু পার হচ্ছিল পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার। মাঝপথে একটি বড় গর্ত দেখে বসে পড়ে সে। পেছনে থাকা সহপাঠীরা এগিয়ে এলে তাদের সঙ্গে রেলিং ধরে ধীরে ধীরে সেতু পার হয় সে।

 

মরিয়ম জানায়, এই সেতু পার হবার সময় মনে হয় যেন ভেঙে পড়ে যাচ্ছে। তাই তার খুব ভয় হয়। প্রতিদিনই এ ভয় নিয়ে বিদ্যালয়ে আসে সে।

 

সিসিসি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মনোয়ারা আক্তার ও তাসনিয়া আক্তার উর্মি বলেন, প্রতিদিন ভয়ে ভয়ে সেতু পার হতে হয়। গত বছর বর্ষার সময় সেতু পার হওয়ার সময় নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয় তাদের সহপাঠী লিয়াকত আলী, ফখরুল ইসলাম শামীম এবং নবম শ্রেণির ছাত্র ইমরানুল ইসলাম নোমানসহ কয়েকজন। কিন্তু এ নিয়ে কারো মাথাব্যথা নেই।

 

এ এলাকার বাসিন্দা ও অভিভাবক মো রবিউল হোসেন বলেন, এটি সংস্কারের জন্য অনেকবার দায়িত্বশীলদের কাছে অনুরোধ করেও কোন লাভ হয়নি। ডিডিটি কারখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী আছে। সবাই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

 

সিসিসি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব কুমার দে বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে ৮ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। কিছুদিন পরপরই আমরা কাঠ দিয়ে সেতুর ভাঙা অংশগুলো মেরামত করি। কিন্তু স্থায়ী সংস্কার না হলে এটি ঝুঁকিপূর্ণ থেকেই যাবে। বর্ষায় ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা। তাই এটি সংস্কার খুবই জরুরি।

 

চিটাগাং কেমিক্যাল কমপ্লেক্সের এমডি নিতাই চন্দ্র রায় বলেন, এ সেতুটি মেরামতের বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।

 

পূর্বকোণ/ইবনুর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট