সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গা এলাকায় অবস্থিত ওয়াহেদের পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আছে কোটি টাকায় নির্মিত শিক্ষা ভবন। তবে তিন গ্রামের শতাধিক শিশুর জন্য প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার উন্নত রাস্তা নেই। দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা ও ভাঙা রাস্তা দিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তার ফলে কমছে উপস্থিতি, বাড়ছে ঝরে পড়ার আশঙ্কা। মুনার পাড়া, লতাপাতা পাড়া, ওয়াহেদের পাড়া এই তিন এলাকার শিশুদের শিক্ষার ভরসা হয়ে ওঠা বিদ্যালয়টি যেন দেখার কেউ নেই।
আবুল হাসেম নামে এক অভিভাবক বলেন, প্রতিদিন এভাবে কাদামাটির মধ্যে শিশুদের স্কুলে পাঠাতে ভয় লাগে। আবার অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে চাইলেও তারা কোনভাবেই যেতে চায় না। আর বর্ষা আসলে স্কুলের চারপাশে আট ফুট পানি হয়ে যায়; যার কারণে স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ থাকে, ব্যাহত হয় শিশুদের লেখাপড়া।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাওলানা মফিজুর রহমান বলেন, রাস্তা নিচু হওয়ায় যাতায়াত বেশ কঠিন হয়েছে উঠেছে। বর্ষায় প্রায় আট ফুট পানি উঠে যায়। তার মধ্যে রাস্তা ছোট ও কাঁচা হওয়ায় যাতায়াতে খুব কষ্ট হয়। যার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে পারে না। তাই আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অনুরোধ করবো আমাদের স্কুল সড়কটি উন্নয়ন করার জন্য।
সাতকানিয়া উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে বলেন, স্কুলের সড়কের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবো। বর্তমানে সরকারের নতুন কোন বরাদ্দ নেই। একটা প্রস্তাবনা আমরা দিয়েছি; প্রকল্প অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে। অনুমোদন পেলেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজটি করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সড়ক অবশ্যই ঠিক থাকা দরকার। ওয়াহেদের পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যদি সড়ক না থাকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে কথা বলে জরুরি ব্যবস্থা নেবো।
পূর্বকোণ/ইবনুর