বান্দরবানের থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের দুর্গম মংখেয়াং পাড়ার নারী জুম চাষী চিংম্রা খেয়াং-এর মৃত্যুর ঘটনাটি দুর্ঘটনা, নাকি এটি একটি হত্যাকাণ্ড তা নির্ণয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি এ কথা জানান।
তিনি জানান, এই ঘটনাটি নিয়ে কেউ যাতে ঘোলাটে অবস্থা সৃষ্টিকর্তা না পারে সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সবাইকে সংযত থাকার আহবান জানান জেলা প্রশাসক।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ কাওছার জানান, হত্যার রহস্য উদঘাটনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। কেউ যাতে ঘটনাটি নিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করতে না পারে সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাকাসহ বান্দরবানের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও খেয়াং স্টুডেন্ট ফোরাম। প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে একটি মহল ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে এলাকার পরিস্থিতি ঘোলাটে করার তৎপরতা চালাচ্ছে। এসব বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের দুর্গম মংখেয়াং পাড়ার একটি জুম খেতের কাছে পাহাড়ি ঝিরি থেকে নারী জুম চাষী চিংম্রা খেয়াং-এর লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের মাথাটি থেঁতলানো এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত ছিল। সোমবার সকালে পাড়া থেকে বের হয়ে জুমে যাওয়ার পর চিংম্রা খেয়াংয়ের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। স্থানীয়রা ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেছেন।
পূর্বকোণ/পিআর