সাগরপথে অবৈধভাবে মিয়ানমারে পাচারের সময় ট্রলার থেকে ৬০০ বস্তা ইউরিয়া সারসহ ১০ জনকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। আটক ১০ জন কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার (১ মে) গভীর রাতে সাগরে টহল দেওয়ার সময় শীলখালি উপকূল হতে প্রায় ১৫ নটিক্যাল মাইল পশ্চিম হতে ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলো-চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার মাস্টার হাটের দ্বীপ কালারুন গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে আব্দুল মান্নান (৪০), টেকনাফের হ্নীলা জাদিমোরার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রফিকের ছেলে আব্দুল ওয়াহেদ (২৩), মিরসরাইয়ের গজারিয়ার নজরুল ইসলামের পুত্র রিয়াদ হোসেন (২৭), একই এলাকার মো. দুলাল হোসেনের ছেলে মো. তারেক হোসেন (২৩), মহেশখালী মাতার বাড়ির রমজান আলীর ছেলে আব্দুল কাদের (৪৭), একই এলাকার বানচু মিয়ার ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (৩৫), তালেব আলীর ছেলে বাহাদুর (৪৩), মাতারবারি উত্তর রাজঘাটের মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. নুরবক্স (৫৪) এবং নোয়াখালী চর জব্বার থানার নয়াপাড়ার মৃত রুস্তুম আমিনের ছেলে মো. সরোয়ার উদ্দিন (৫২) ও পটিয়া লাখেরা গ্রামের রাজা মিয়া ছারাং এর ছেলে মো. ওসমান (৫৬)।
কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ বলেন, সাগরে ৫৮ দিন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় কোনো ট্রলার অবস্থান করা বেআইনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে টেকনাফের সেন্ট মার্টিন উপকূলের গভীর সাগরে সন্দেহজনক একটি মাছ ধরার ট্রলার দেখতে পান কোস্ট গার্ডের জাহাজ তাজউদ্দিনের সদস্যরা।
তখন কোস্ট গার্ড সদস্যরা ট্রলারটিকে থামার সংকেত দেন। কিন্তু সংকেত অমান্য করে ট্রলারটির চালক গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে ধাওয়া দিয়ে কোস্ট গার্ড সদস্যরা ট্রলারটি ধরে ফেলেন। পরে যানটিতে তল্লাশি চালিয়ে ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পাচারের জন্য বহন করা ৬০০ বস্তা ইউরিয়া সার পাওয়া যায়’। তখন সারসহ ট্রলারে থাকা ১০ পাচারকারীকে আটক করা হয়।
কোস্ট গার্ডের গণমাধ্যম কর্মকর্তা আরো বলেন, পরে সকালে ট্রলারটি টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন কোস্ট গার্ডের জেটি ঘাটে নিয়ে আসা হয়। ট্রলারটি থেকে জব্দ করা সার টেকনাফ কাস্টমস কার্যালয়ে জমা রাখা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা হয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর