কক্সবাজার সদর উপজেলা ভূমি অফিসে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আকস্মিক অভিযানে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে প্রায় আড়াই ঘণ্টা এই অভিযান চলে। অভিযানের শুরুতেই ভূমি অফিসের কানুনগো ও অফিস সহকারীসহ বেশ কয়েকজন কর্মচারী দ্রুত সটকে পড়েন।
ভূমি অফিসে উপস্থিত সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক এই অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল জব্দ করা হয় এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানার সাথে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে দুদক টিম।
দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলা ভূমি অফিসে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে বেশ কিছু অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়েছে এবং কিছু তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও, বেশ কয়েকজন সেবাগ্রহীতার সাথে কথা বলে অনিয়মের অভিযোগ শোনা গেছে। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে এসব অভিযোগের বস্তুনিষ্ঠ প্রমাণ পাওয়া যায়নি। জব্দকৃত নথি বিস্তারিতভাবে যাচাই-বাছাই করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তবে, কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানা ভূমি অফিসে দুদকের অভিযানের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভূমি অফিসে কোনো অভিযান হয়নি। একটি সংবাদের ভিত্তিতে দুদক তথ্যের প্রয়োজনে এসেছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি সত্য নয়।’ এসিল্যান্ডের এই বক্তব্য এবং দুদকের অভিযানের প্রেক্ষাপট স্থানীয় মহলে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ভূমি অফিসে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যাচ্ছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের এই অভিযান তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে। এখন জব্দকৃত নথিপত্র যাচাইয়ের পর দুদক কী পদক্ষেপ নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে আছে কক্সবাজারবাসী।
পূর্বকোণ/এরফান/আরআর/পারভেজ