চট্টগ্রাম রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

সর্বশেষ:

বাঁশখালীতে ছুরিকাঘাতে স্ত্রী খুনের আসামি স্বামীর চমেক হাসপাতালে মৃত্যু
স্ত্রী মিনু আক্তার ও স্বামী ফরিদুল আলম

বাঁশখালীতে ছুরিকাঘাতে স্ত্রী খুনের আসামি স্বামীর চমেক হাসপাতালে মৃত্যু

বাঁশখালী সংবাদদাতা

১৬ এপ্রিল, ২০২৫ | ৭:৩৯ অপরাহ্ণ

বাঁশখালীতে ছুরিকাঘাতে স্ত্রী খুনের আসামি ঘাতক স্বামী ফরিদুল আলম বিষপানে আত্মহত্যা চেষ্টার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে। গতকাল (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

 

গত ১১ এপিল ভোরে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়ায় বাপের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া স্ত্রী মিনু আক্তারকে (৩৫) খুন করে পালিয়ে যায় ফরিদুল আলম। পরে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার খানখানাবাদ ইউপি’র নিজ বাড়িতে পবিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। পুলিশ হেফাজতে চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মা, বাবার মৃত্যুতে ওই পরিবারে আর বেঁচে আছে ২ মেয়ে ১ ছেলে।

 

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহত মহিলার ভাই নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। স্ত্রী খুনের মামলার আসামি ফরিদুল আলম এলাকায় গিয়ে মঙ্গলবার বিষপান করে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। এ অবস্থায় পুলিশ খবর পেয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করে। আসামি চট্টগাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে মারা গেছে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে ।

 

জানা যায়, উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়াংয়ের ডোংরা কালু ফকির বাড়ির মৃত দুদু মিয়ার ছেলে নাইমুদ্দিন প্রকাশ ফরিদুল আলমের (৪২) সাথে অন্তত ১৫ বছর আগে পার্শ্ববর্তী বাহারছড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়াড়ের পশ্চিম ইলশার অজি আহমদের মেয়ে মিনু আক্তারের (৩৫) বিয়ে। তাদের সংসার জীবনে ২মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। অভাবের সংসারে গত বৃহস্পতিবার স্বামী ফরিদুল আলম বাড়িতে এসে ঝগড়া করে, শুক্রবার ১১ এপ্রিল ভোররাতে বাপের বাড়িতে ঘুমন্ত স্ত্রী মিনু আক্তারকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। মিনু আক্তারের চিৎকারে স্বজন, প্রতিবেশীরা দ্রুত তাকে প্রথমে বেসরকারি হাসপাতাল প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

 

 

পূর্বকোণ/অনুপম/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট