টেকনাফের হোয়াইক্যং মিনাবাজারে দুবৃর্ত্তদের দেওয়া আগুনে দেড় হাজার বান্ডেল শণ ও নোহা গাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার ১ নম্বর হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনাবাজার সংলগ্ন পূর্বপাশে স্থানীয় মৃত ইউছুপ আলীর ছেলে আব্দুর রহিম ও আবদুর রকিমের মালিকানাধীন শণের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আগুন চারদিকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে সেমিপাকা টিনের ছাউনি ঘরে থাকা ৮ লাখ টাকা মূল্যের প্রায় ১৪ হাজার বান্ডেল শণ এবং গুদামে রাখা আবদুর রকিম ও নয়াবাজারের ছালেহ’র মালিকানাধীন ৩০ লাখ টাকা মূল্যের এক্স নোহা বক্সি (ঢাকা মেট্টো- চ-৫১-৮৮৩৪) পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে ভোর ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার খবর পেয়ে দুপুরের দিকে কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী, টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ ওসমান গণি, হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (নিরস্ত্র) কাজল ধর পৃথকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে এ ধরনের ন্যাকক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। কারা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িত তা তদন্ত পূর্বক প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
শণের মালিক আব্দুর রহিম জানান, এলাকার একটি চিহ্নিত মহল শত্রুতাবশত অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিসাধন করেছে। এই বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানায় ১টি অভিযোগ দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
নোহা গাড়ির মালিক ছালেহ ও রকিম জানান, আমাদের নতুন গাড়িটি নিয়মিত রাখি। শত্রুমহলের ইন্ধনে লাগানো আগুনে ৩০ লাখ টাকা মূল্যের গাড়টি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমরা তদন্ত পূর্বক প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
পূর্বকোণ/কাশেম/জেইউ/পারভেজ