দর্শনার্থী দেখলেই খাবারের জন্য হাত বাড়াচ্ছে বানর। সেই বানরকে কলা কিংবা অন্য কোন ফল তুলে দিলে সাথে সাথে বিভিন্ন গাছের ডাল থেকে লাফিয়ে নেমে আসছে আরো বানরের ঝাঁক! তারপর খাবার পেতে হাত বাড়াচ্ছে অবলা প্রাণীগুলো। তাদের অসহায় চাহনি দেখে দর্শনার্থীরাও দোকান থেকে ফলমূল কিনে খাওয়ালে তৃপ্ত হয়ে আবারো গাছে ফিরছে তারা।
প্রতিদিন দুপুরে এ দৃশ্য দেখা যায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ ধাম মহাতীর্থের শম্ভুনাথ মন্দির এলাকায়। এখানে আসা পূণ্যার্থীদের কাছ থেকে খাবার পাবার আশায় প্রতিদিন নেমে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে বানর। পাহাড়ে খাদ্য সংকট প্রবল হওয়ায় এ ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন বন্যপ্রাণী বিশারদগণ। কিন্তু এ অবস্থায় কারো নির্দয় আক্রমণের শিকার হয়ে এ প্রাণীগুলোর মৃত্যুও হতে পারে বলে অভিমত তাদের।
সরেজমিনে সীতাকুণ্ড পাহাড়ের চন্দ্রনাথ ধাম মহাতীর্থে ঘুরে দেখা যায়, এখানে পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বেশ কিছু মঠ-মন্দির রয়েছে। এসব মন্দিরগুলোতে প্রতিদিন পূজা দেন অসংখ্য পূণ্যার্থী। এছাড়া নৈস্বর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে টানে এখানে ছুটে আসেন হাজার হাজার পর্যটকও। তারা আসার সময় নিয়ে আসেন হরেকরকম খাবারও। মূলত এসব খাবারের লোভেই গহীন পাহাড় থেকে মন্দিরে ও আশপাশের দোকানপাটে ছুটে আসে বানরের ঝাঁক।
সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ ধাম তীর্থ কমিটির সদস্য অশোক চক্রবর্তী বলেন, এই তীর্থভূমির মঠ-মন্দিরে এলে পূণ্যার্থীদের কাছে খাবার পায় বানরগুলো। তাই প্রতিদিনই এখানে দলে দলে বানর আসে। কিন্তু লোকালয়ে এদের উপর হামলার কথা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
পূর্বকোণ/ইব