চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫

সর্বশেষ:

পাতি সরালির শত বছরের অভয়াশ্রম রামগড় চা বাগান

নিজাম উদ্দিন লাভলু, রামগড়

৮ মার্চ, ২০২৫ | ১২:৩৫ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী ফেনীনদী ঘেঁষে রামগড় চা বাগানের অবস্থান। খাগড়াছড়ি জেলার প্রবেশদ্বার এ চা বাগান। প্রায় ১৪শ একর আয়তনের বাগানের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট ৫০ একরের একটি বিশাল জলাশয়। সবুজ চা বাগানের মাঝে সারি-সারি নারিকেল গাছ ঘেরা এ বিশাল জলাশয়টি শত বছরের পুরানো। এটি পাতি সরালি হাঁসসহ বিভিন্ন অতিথি পাখির অভয়াশ্রম। তবে সরালি-ই এ জলাশয়ের শত বছরের বাসিন্দা, চা পরিবারের সদস্য। নিরাপত্তা ও খাদ্যের অভাব না থাকায় সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করে এরা। চা বাগানের জলাশয়ের বাসিন্দা পাতি সরালির সাথে লেনজা হাঁস, পিং হাস, বালি হাঁস, বড় সরালী, কাইম, মদনা, গঙ্গা কবুতর, কালাকোড়া ও পিয়ারির পাশাপাশি নাম না জানা অনেক অতিথি পাখির বিচরণও দেখা যায় । শীতে নানা প্রজাতির অতিথি পাখিও এসে জড়ো এ জলাশয়ে। শীতের সকালের সোনালী রোদে পাতি সরালিসহ অন্যান্য পাখিদের সাথে বক, পানকৌড়ি, মাছরাঙ্গা আর গাঙচিলের মতো দেশীয় পাখি একাকার হয়ে যায় মিলন মেলায়। সারা বছরই মুখরিত থাকে অসংখ্য পাখ-পাখালির কলকাকলিতে। রামগড় চা বাগানের কর্মচারী রাখাল চন্দ্র বনিক বলেন, প্রায় আশি বছর আগে এ চা বাগানেই তাঁর জন্ম। জন্মের পর থেকেই জলাশয়ে ঝাঁকে-ঝাঁকে পাখির বসবাস দেখে আসছেন। ১৯১৬ সালে বাগানটির সৃষ্টি। জলাশয়টি তারও আগের এবং প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি। বিশাল এ ডোবা দেশীয় জাতের নানা মাছসহ জলজপ্রাণী ও জলজ উদ্ভিদে পরিপূর্ণ ছিল। এ কারণেই বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এ জলাভূমিটি বেছে নেয়। তিনি আরও বলেন, বাগানের শ্রমিক-কর্মচারী কেউ কখনও পাখিগুলো শিকার কিংবা বিরক্ত করে না। ফলে চা পরিবারের সদস্য হিসেবেই পাখিগুলো সারা বছর বসবাস করে।

বাগানের ব্যবস্থাপক শওকত বাহার সোহাগ বলেন, ‘বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাদের খান স্যার পাখিগুলোর ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। পাখির আবাসস্থল জলাশয়টিতে সার্বক্ষণিক চারজন পাহারাদার নিয়োজিত থাকে। কেউ যেন পাখি শিকার বা কোন রকম বিরক্ত করতে না পারে এজন্য কঠোর নির্দেশ তাঁর। তাই বাগানের সবাই এ ব্যাপারে খুই সজাগ ও সতর্ক।’

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট