কর্ণফুলীতে খোলা বাজারে অধিক মুনাফায় বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুতকৃত সয়াবিন তৈল সাধারণ মানুষের মাঝে সুলভমূল্যে বিক্রিতে বাধ্য করল কর্ণফুলী উপজেলা প্রশাসন।
চারদিকে ভোজ্যতেলের তীব্র সংকটের সময়ে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দিনভর কর্ণফুলী উপজেলায় সুলভ মূল্যে সয়াবিন তেল পাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে কর্ণফুলীর পাঁচ ইউনিয়নের হাজারও পরিবারের মাঝে।
এর আগে একটি গোডাউনে বিপুল পরিমান সয়াবিন মজুত করা আছে- এই তথ্যের ভিত্তিতে গত রবিবার (২ মার্চ) বিকেলে উপজেলার শিকলবাহা এলাকায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়া ত্রিপুরার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতর অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় একটি গুদামে প্রায় চার হাজার লিটার পরিমাণ সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে তেল মালিকদের কাউকে দেখা না যাওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে সয়াবিনতেলের মালিকরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে এসে জানাযন, অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় তারা খোলা বাজারে তেল বিক্রি করতে এসব তেল মজুত করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়া ত্রিপুরা জানান, তেল মজুত করার ঘটনায় জড়িতরা ক্ষমা প্রার্থনা করে মুচলেকা দেযন। শাস্তিস্বরূপ তাদের মজুতকৃত ভোজ্যতেলগুলো একদিনের মধ্যে সাধারণ মানুষের মাঝে সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে। এতে কর্ণফুলী এলাকায় ভোজ্য তেলের সংকট কিছুটা কমেছে ।
জানা যায়, মঙ্গলবার দিনব্যাপী উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের কয়েকহাজার সাধারণ বাসিন্দা সুলভমূল্যে তেল ক্রয় করেন। সুলভমূল্যে তেল কিনতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছে শতশত গ্রাহক।
উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা জাহেদুর রহমান বলেন, রমজানকে ঘিরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আকাশচুম্বী হয়েছে। তেল বাজার থেকে উধাও। এই সময়ে প্রশাসনের এই উদ্যোগে আমরা লাভবান হয়েছি।
উপজেলা চত্বরে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হওয়া তেল কিনতে আসা যুবক রফিক বলেন, মাত্র ১৫৫ টাকা লিটার মূল্যে আমি পাঁচ লিটার তেল কিনেছি।
প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বাসিন্দারা বলছেন, অধিক মুনাফা লাভের জন্য যারা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে তাদের সবসময় নজরদারিতে রাখতে হবে। প্রশাসনকে কাজ করতে হবে সাধারণ মানুষের হয়ে।
পূর্বকোণ/নয়ন/জেইউ/পারভেজ